নিউজ ডেস্ক: রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ইমারত আইনের মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন। এদিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু উচ্চ আদালতের আদেশে মামলাটি স্থগিত থাকায় আসামিপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। সময় আবেদন মঞ্জুর করে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ওই দিন ধার্য করেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবীর বাবুল যুগান্তরকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন রানা প্লাজা ভেঙে পড়লে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ট্রাজেডি হিসেবে পরিচিত। এতে ১ হাজার ১৩৫ জন নিহত এবং দেড় হাজারের অধিক আহত হন। নিহত শ্রমিকদের মধ্যে ২৯১ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এরা সবাই ওই ভবনের পাঁচটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সতর্কবার্তা থাকলেও দরিদ্রতার সুযোগে দুর্ঘটনার দিন জোরপূর্বক শ্রমিকদের কাজে যোগদানে বাধ্য করানো হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ইমারত বিধিমালা না মেনে ভবন নির্মাণের অভিযোগে ওই সময় সোহেল রানাসহ ১৩ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় এ মামলাটি করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল আহমেদ। সিআইডি তদন্ত শেষে এ মামলায় সোহেল রানা ও তার বাবা-মাসহ ১৮ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ১৯৫২ সালের ইমারত নির্মাণ আইনের ১২ ধারায় এ চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয়া হয়।
২০১৬ সালের ১৪ জুন এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় ১৩৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।