পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। মুমিনের প্রতিটি ইবাদতের সঙ্গে পবিত্রতার সম্পর্ক রয়েছে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনেও পবিত্রতার গুরুত্ব রয়েছে। অজু করার মাধ্যমে একজন মানুষ সারাদিন পাক-পবিত্র থাকতে পারেন। এ জন্য মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে পবিত্রতা অর্জনকারীদের সুনাম করেছেন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসার ঘোষণা দিয়েছেন।
সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের জন্য ঘুম অপরিহার্য। প্রয়োজন ও স্বাভাবিক জীবনের তাগিদেই মানুষকে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে হয়। ঘুমের জন্য উপযুক্ত সময় রাত। রাতের নিরবতা ও আরামদায়ক পরিবেশই মূলত প্রশান্তির ঘুমের জন্য উপযোগী।
রাতের পরিবেশ ঘুমের জন্যই নির্ধারণ করেছেন আল্লাহ তায়ালা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,
وَ هُوَ الَّذِیۡ جَعَلَ لَكُمُ الَّیۡلَ لِبَاسًا وَّ النَّوۡمَ سُبَاتًا وَّ جَعَلَ النَّهَارَ نُشُوۡرً
ঘুমকে আল্লাহ তায়ালা এমন করেছেন যে, এর ফলে সারাদিনের ক্লান্তি ও শ্রান্তি ছিন্ন তথা দূর হয়ে যায়। চিন্তা ও কল্পনা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে মস্তিষ্ক শান্ত হয়। আর আবরণ ও পোশাক যেমন মানুষের শরীর ঢেকে রাখে, একইভাবে রাতের অন্ধকার মানুষকে লুকিয়ে রাখে এবং ঘুমের উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচিত হয়।
রাতে ঘুমানোর পূর্বে অজু করে জিকির-আজকার তিলাওয়াত করার পর অজু চলে গেলে সম্ভব হলে পুনরায় অজু করে নেওয়া উচিত। এর বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এ বিষয়ে হজরত বারা ইবনু আজিব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সা. বলেছেন—
যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের অজুর মতো অজু করে নেবে। তারপর ডান পাশে শুয়ে বলবে,
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আসলামতু ওয়াজ্হিয়া ইলাইকা ওয়াফাউওয়াদতু আমরিয়া ইলাইকা ওআলজাআতু জাহরিয়া ইলাইকা রাগাবাতান ওরাহবাতান ইলাইকা লা মালজাআ ওয়া-লা মানযা’আ মিনকা ইল্লা ইলাইকালল্লাহুম্মা আমানতু বিকিতাবিকাল্লাজি আনঝালতা।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ্! আমার জীবন আপনার কাছে সমর্পণ করলাম। আমার সকল কাজ আপনার কাছে সোপর্দ করলাম এবং আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করলাম, আপনার প্রতি আগ্রহ ও ভয় নিয়ে। আপনি ছাড়া কোনো আশ্রয়স্থল ও নাজাতের স্থান নেই। হে আল্লাহ্! আমি ঈমান আনলাম আপনার নাযিলকৃত কিতাবের ওপর এবং আপনার প্রেরিত নবীর ওপর।’
হাদিস বর্ণনাকারী বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, এ দোয়া পড়ার পর যদি সে রাতেই কারও মৃত্যু হয়, তবে ফিতরাতে ইসলামের (স্বভাবধর্ম ইসলামের ওপর) ওপর তার মৃত্যু হবে। এ কথাগুলো তোমার শেষ কথা বনিয়ে নাও। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৪৫)