তিনি জানান, রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে আমরা স্টার সিনেপ্লক্সের একটা শাখা চালু করেছিলাম।
রাজশাহী শহর থেকে বেশ দূরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে ছিল আমাদের স্টার সিনেপ্লেক্স। ক্ষমতার পালাবদলের পর হাইটেক পার্কে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে। এই ফাঁকে সুযোগ সন্ধানী ও লুটের তালে থাকা কিছু মানুষ স্টার সিনেপ্লেক্সও ভাঙচুর করে।
মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘আমাদের স্টার সিনেপ্লেক্সের অধিকাংশ শাখাই মার্কেটের ভেতরে অবস্থিত। তাই সেসব সুরক্ষিত রয়েছে। এটা হাইটেক পার্কের ভেতরে ছিল। হাইটেক পার্কে হামলার ফলে আমাদের সিনেপ্লেক্সেও হামলা করা হয়েছে। ‘
এদিকে সিনেমা হলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস, অনন্য মামুন, আলোক হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।
দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ‘দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হামলা ভাঙচুর চলছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সিনেমা হল ভাঙচুর করা হয়েছে, সিনেমা কার ক্ষতি করেছে? সিনেমা শুধু বিনোদন নয়, সিনেমা হলো সমাজের প্রতিচিত্র। সিনেমা হল ভাংচুর করার কোনো মানেই হয় না। ’
নির্মাতা অনন্য মামুন বলেন, ‘আমার দেশের চলচ্চিত্র যখন ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে, ঠিক তখুনি এত বড় আঘাত। আজ সিনেপ্লেক্স আছে বলে চলচ্চিত্র দেখার জন্য নতুন দর্শক আসতে শুরু করেছে। আমরা বড় বাজেটের চলচ্চিত্র বানানোর স্বপ্ন দেখি। রাজশাহী হাইটেক পার্কে ৫ আগস্ট সারারাত লুটপাট হয়েছে, সিনেপ্লেক্স ভেঙ্গে চুরমার। ওয়াশরুমের কমোড, পানির ট্যাপটাকেও ছাড়েনি। ‘