স্ট্রোক একটি ঘাতক ব্যাধি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী যত অসংক্রামক ব্যাধি আছে, সেগুলোর মধ্যে মৃত্যুর দিক থেকে হৃদরোগের পরেই স্ট্রোকের অবস্থান। পঙ্গুত্বের অন্যতম বড় কারণ স্ট্রোক। দিন দিন এতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ধরা হয়, তাহলে প্রতি এক হাজার মানুষের মধ্যে ১১ জনই স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।
স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়
৯০ শতাংশ স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ধূমপানের ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমা হয়ে রক্তনালি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কে রক্ত পৌঁছতে পারে না এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রোকের সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে মস্তিষ্কে কোষ বেশি পরিমাণে ধ্বংস হয়। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের কারণে রক্তনালিতে চর্বি জমে যায়। ফলে রক্তনালি সরু হয়ে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
পুষ্টিকর খাবার খান
প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে পাঁচ ভাগের এক ভাগ ফলমূল ও শাকসবজি রাখতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। পটাসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার, যেমন—সবুজ শাকসবজি, সয়াবিন তেল, মাছের যকৃৎ খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
যারা প্রতিদিন ব্যায়াম করে তাদের রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
মানসিক চাপ কমান
মানসিক চাপ কমালে স্ট্রোকের ঝুকি কমানো সম্ভব।