নিউজ ডেস্ক:
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বৈবাহিক জীবনকে কিছুটা হলেও সুখকর করে তুলতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। রাজ্যের মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতিবন্ধীদের বিয়ের সময়ে সরকার উপহার সরূপ তুলে দেবে ৫০ হাজার টাকা। খবর এই সময়ের।
সিদ্ধান্তটা অবশ্য নতুন নয়। ১৯৮৬ সালে তদানীন্তন সরকার প্রথমবারের মত প্রতিবন্ধীদের জন্য বৈবাহিক ভাতা চালু করেছিল। তখন অনুদানের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার টাকা। এরপররাজ্য শাসন করে গেছে আরও পাঁচটি সরকার। কিন্তু তিন দশকে তাঁদের প্রতি আর নজর পড়েনি কারও।
অবশেষে দীর্ঘ ৩১ বছর পর বাড়ল শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বৈবাহিক অনুদান। দেরিতে হলেও এক লাফে এই অনুদানের পরিমাণ বেড়েছে দশগুণ। অর্থাৎ এখন থেকে প্রতিবন্ধীরা বিয়ের জন্য সরকারের কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকা পাবেন। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার তথ্যদপ্তরের মন্ত্রী ভানুলাল সাহা।
মন্ত্রী শ্রী সাহা জানিয়েছেন, এই ৫০ হাজার টাকা অবশ্য একসাথে পাবেন না প্রতিবন্ধীরা। এর মধ্যে ১৫ হাজার টাকা দেয়া হবে বিয়ের জিনিসপত্র ক্রয় করার জন্য। ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে রিসেপশন অর্থাৎ পার্টির জন্য। বাকি ১৫ হাজার টাকা নগদে মিলবে না। এই টাকা দিয়ে পাত্র-পাত্রীর জন্য বন্ড করে বিয়ের উপহার দেওয়া হবে।
বলাবাহুল্য যে, দেরিতে বাড়লেও টাকার অঙ্কের পরিমাণটা বাড়ানোয় অনেক প্রতিবন্ধী পাত্রপাত্রী উপকৃত হবেন। যদিও এই মুহূর্তে বিবাহযোগ্য এমন প্রতিবন্ধীর সংখ্যাটা কত আছে ত্রিপুরায় সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যায়নি।