নিউজ ডেস্ক:
ডোকলাম নিয়ে ভারত ও ভুটানের সঙ্গে ঝামেলা লাগিয়ে রেখেছে চীন। তবে শুধুমাত্র ভারত ও ভুটান নয় ভিয়েতনাম, জাপান, ফিলিপিন্স, আমেরিকার সঙ্গেও বিতর্ক বজায় রেখেছে পাকিস্তানের বন্ধু চীন।
অর্থাৎ সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বিরোধ লাগিয়ে রেখেছে তারা। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পিছনে অন্যতম কারণ হল প্রতিবেশীদের একটুকু জমিও ছাড়তে রাজি নয় তারা। সব কিছু নিজে আত্মসাৎ করার ধান্দা সর্বদা মাথায় ঘুরছে তাদের।
৭০ বছর আগে, ১৯৪৯, পয়লা অক্টোবর পিপলস রিপাবলিক চীনের অংশ ছিল না তিব্বত ও ইস্ট তুর্কিস্তান (বর্তমান জিংজং)। দক্ষিণ দিকটা ছিল ন্যাশনালিস্ট চায়না। এমনকি হংকং ও ম্যাকাও চীনের অংশ ছিল না। এখন চীনের অধীনে যা জমি রয়েছে তার অর্ধেক জমি তখন ছিল।
প্রথমে পিপলস রিপাবলিক চায়না দখল করে সোশ্যালিস্ট ও ন্যাশনালিস্ট অংশটা। যার পরে আরও ২৫ শতাংশ জমি চীনের সঙ্গে যুক্ত হয়। তারপরে তারা হাত বাড়ায় মুসলিম অধ্যুষিত ইস্ট তুর্কিস্তান, যা বর্তামানে জিংজং নামে পরিচিত তার দিকে। এটার দখল নেওয়ার পরে চিনের সঙ্গে যুক্ত হয় আরও ১৫ শতাংশ জমি৷ এখনও জিংজং চীনের দখল মুক্ত হওয়ার জন্য লড়াই চালাচ্ছে। তারপর বৌদ্ধ শাসনে থাকা তিব্বতের দিকে শ্যেন নজর দেয় চীন। দশ বছরেরে মধ্যে তিব্বত চীনের দখলে চলে আসে। প্রাণ রক্ষার্থে বাধ্য হয়ে বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামাকে ভারতে চলে আসতে হয় পালিয়ে। পৃথিবীর ছাদ হিসাবে পরিচিত তিব্বত হল এশিয়ার বহু প্রধান নদীর উৎপত্তি স্থল। ১২০০ বছর আগে লড়াইয়ে চীনের সঙ্গে লড়াইয়ে জয় লাভ করেছিল তিব্বত। এভাবে আরও অনেক ভূমি চীন নিজেদের দখলে নিয়েছে। এতে মনে হচ্ছে, ‘যা চাইব তাই পাব’ এইটাই যেন চীনের স্বভাব।