নিউজ ডেস্ক:
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। যদিও পরবর্তীতে এই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন আমেরিকার ওয়াশিংটন ফেডারেল আদালত। তবে আদালতের এই স্থগিতাদেশের আগেই গত ৭ দিনে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিশ্বের সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের আবেদন করা এক লাখ ভিসা প্রত্যাহার করেছে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার আলেকজান্দ্রিয়ার ফেডারেল কোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল ভ্রমণ নিষেধের আওতায় পড়া সাতটি দেশের নাগরিকদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান।
তবে দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রকাশিত ভিসা প্রত্যাহারের সংখ্যা ৬০ হাজার বলে জানানো হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব কনসুলার অ্যাফেয়ার্স বিভাগের একজন মুখপাত্র ভার্জিনিয়া ইলিয়ট বলেন, ‘ভিসা প্রত্যাহারের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসরত মুসলমানদের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। তবে তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রের মাটি ত্যাগ করে এবং আবার ফিরে আসতে চায় তবে তাদের ভিসা আর কার্যকর থাকবে না।
তবে আলেকজান্দ্রিয়ায় আদালতে মামলার শুনানি চলাকালে দেশটির অভিবাসন অফিসার এরেজ রুভেনি জানাতে পারেননি ডালাস বিমানবন্দর থেকে আসলে কতজনকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, ‘বিমানবন্দরে আসা গ্রিন কার্ডধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। ‘ ভার্জিনিয়ার এক আইনজীবী জেনারেল স্টুয়ার্ট রাফায়েল জানিয়েছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে এ সমস্যা সমাধানে এমন বিচ্ছিন্নভাবে মামলা করা যথেষ্ট নয়। যতক্ষণ না দেশটির ডালাস ও অন্যান্য বিমানবন্দর থেকে সঠিক কতজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তা জানা যাবে, ততক্ষণ এ বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে না। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে চলা খুবই সমস্যার। তবে আমি সন্তুষ্ট যে, তারা খারাপ মানুষকে ফেরত পাঠাতে চাইছে। আমি এই মাত্র জানতে পারলাম, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ ধরনের কড়াকড়ির কারণে তুরস্কে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও লিবিয়ার এক নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে বাধা দেওয়া হচ্ছে।