নিউজ ডেস্ক:
শহীদ পরিবারের সন্তান এটর্নী ইমরান আহমেদ পেশাগত কৃতিত্বের এক অনন্য স্বীকৃতি পেলেন। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের এটর্নী জেনারেল তাকে প্রদান করলেন ‘দ্য লেফকভিজ এওয়ার্ড। গত সপ্তাহে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে অঙ্গরাজ্যের এটর্নী জেনারেল এরিক স্নাইডারম্যান এই এওয়ার্ড তাকে হস্তান্তর করেন।
একাত্তরের ৯ এপ্রিল সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাক হায়েনাদের বর্বর নির্যাতনে আহতদের চিকিৎসার সময় পাক হায়েনারা গুলি করে হত্যা করে প্রফেসর শামসুদ্দিন আহমেদকে। তিনি ছিলেন সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চীফ সার্জন। সেই শহীদ শামসুদ্দিনের নাতি হচ্ছেন এটর্নী ইমরান আহমেদ।
মা-বাবার সাথে তিনি নিউজার্সিতে বসবাস করলেও ইমরান আহমেদ কাজ করছেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সহকারি এটর্নী জেনারেল হিসেবে। কতিপয় চিকিৎসক এবং ফার্মাসিস্ট কর্তৃক ভুয়া চিকিৎসার নামে ৩০ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার হদিস উদঘাটনসহ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ক্ষেত্রে বিচক্ষণতাপূর্ণ ভূমিকার জন্যে ইমরানকে এই এওয়ার্ড প্রদান করা হয় বলে অঙ্গরাজ্য প্রশাসন জানায়।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকান আইনজীবী ইমরানের বাবা সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং মা রাজিয়া আহমেদ বসবাস করছেন নিউজার্সির চেরী হিলে। ইমরানের এ পুরস্কারপ্রাপ্তির ঘটনা প্রবাস-প্রজন্মকে আরো উদ্যমী হতে উৎসাহ যোগাবে বলে মনে করছেন প্রথম প্রজন্মের প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
ইমরানের চাচা এবং উত্তর আমেরিকায় প্রখ্যাত সমাজকর্মী ফিলাডেলফিয়া সিটিতে ড্রেক্সডেল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এ সংবাদদাতাকে জানান, ‘এটর্নী হিসেবে ইমরানের এ সাফল্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্যে অত্যন্ত আনন্দদায়ক একটি সংবাদ। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বাংলাদেশী বংশোদ্ভ’তরা ভালো করছেন। আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে এসব গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রাখছে।