লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ এ জয়ে নিশ্চিত হয়ে গেল, কিয়ার স্টারমারই হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। জয়ের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, পরিবর্তন এখন থেকেই শুরু হলো। আমি আনন্দিত।
এদিকে নির্বাচনের ফল মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। পরাজয় মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে বিদায় নিচ্ছেন তিনি।
টানা ৬ মাসের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার পর যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে ব্যালটের মাধ্যমে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয় ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৪০ হাজার কেন্দ্রে। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩৫টি রাজনৈতিক দল মাত্র একজন করে প্রার্থী দেয়।
যুক্তরাজ্যের এবারের নির্বাচনে রেকর্ড ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একেকটি আসনে গড়ে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন করে। ৩১৭টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েন ৪৫৯ জন।
যুক্তরাজ্যে এবারের সাধারণ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মনোনয়নে প্রার্থী হন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেউ কেউ। সব মিলিয়ে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবারের নির্বাচনে।
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় গণনা। নিয়ম অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলকে সরকার গঠন ও দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানাবেন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস। দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দল পার্লামেন্টে থাকবে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে। আর দলটির নেতা হবেন প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা।
আগামী ৯ জুলাই নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে নতুন সরকারের।