সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার গত ২২ মে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
তবে এবারের নির্বাচনে ঋষি সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনামলের অবসান হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে বিভিন্ন জরিপে।
জরিপকারী প্রতিষ্ঠান সার্ভেশন বলছে, কিয়ার স্টার্মারের লেবার পার্টি ৬৫০টির মধ্যে ৪৮৪টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে। যদিও ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগে চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতি, জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যু এবারের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে।
জরিপে এগিয়ে থাকা লেবার পার্টির স্টার্মার প্রচারণায় বলে আসছেন, ক্ষমতায় গেলে অর্থনীতি পুনর্গঠন, স্বাস্থ্যসেবা গতিশীল করা, জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো এবং অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় না পাঠিয়ে নিজ নিজ দেশে পাঠানো হবে। কনজারভেটিভদের ১৪ বছরের বিশৃঙ্খল শাসনামলের অবসান ঘটাতে লেবার পার্টিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জয়ের বিষয়ে আশাবাদী সুনাক বলেন, প্রতিটি ভোটের জন্য তিনি কঠিন লড়াই করছেন। তার দাবি, এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ এই নির্বাচনে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, এমন বিশ্লেষণও দেখেছেন তিনি। নির্বাচনের ফলাফলের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়ে সুনাক বলেন, ‘অবশ্যই আমি দায়িত্ব নেব, কারণ আমি দলের নেতা। ’
এবারের নির্বাচনে বর্তমান এমপি রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক ও আফসানা বেগম লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। এছাড়া আরো ৩০ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন।