দুই নিকট প্রতিবেশীর সম্পর্কের ভবিষ্যৎ পথরেখা নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শনিবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে আলোচনায় বসছেন। সহযোগিতার বর্তমান ধারা অব্যাহত রেখে নতুন কোন কোন ক্ষেত্রে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর সহযোগিতার নানা বিষয়ে ১০টির বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই ও নবায়ন হতে পারে। দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্র থেকে জানা যায়, দুই প্রধানমন্ত্রী এবার শীর্ষ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ভিন্ন সময় আর ভিন্ন পরিস্থিতিতে। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শেখ হাসিনার বেইজিং যাওয়ার কথা রয়েছে। পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবার দুই দেশের সম্পর্কের চেয়ে যেন বড় হয়ে উঠছে চীন প্রসঙ্গ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে শনিবার (২২ জুন) সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে লালগালিচা বিছানো হবে। এসময় তার ভারতীয় সমকক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং দুদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড অব অনারও পরিদর্শন করবেন। এরপর তিনি রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেখানে পরিদর্শন বইয়ে সই করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপরে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক এবং প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনার জন্য হায়দরাবাদ হাউসে যাবেন শেখ হাসিনা। উভয়েই সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দেবেন। হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন তিনি।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের সঙ্গে তার সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
সফর শেষে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে পালাম বিমানবন্দর থেকে ভারতের রাজধানী ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাত ৯টায় তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।