নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রাম থেকে প্রবাসীর স্ত্রী আফরোজা খাতুনের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরে তাঁর মরদেহের সন্ধান পান স্বজনরা। তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে ধারণা করছেন স্বজনরা। আফরোজা খাতুন মহিষাখোলা গ্রামের হাউস আলীর মেয়ে। গাংনী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের শিপন মিয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। শিপন বিদেশে থাকায় দুই ছেলেকে নিয়ে পিতার বাড়িতে বসবাস করতেন আফরোজা।
নিহত গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে প্রতিদিনের ন্যায় নিজ ঘরে দুই ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আফরোজা। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির লোকজন আফরোজার সন্ধান পাচ্ছিলেন না। খোঁজার একপর্যায়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি তুলাখেতে আফরোজার ব্যবহৃত ওড়না ও স্যান্ডেলের সন্ধান পাওয়া যায়। এতে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ বেড়ে যায়। পরে প্রতিবেশী আজাদ বক্সের পুকুরে আফরোজার মরদেহ খুঁজে পান স্বজনরা। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্নি রয়েছে। এতে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পুকুরে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্বজনরা। তবে কী কারণে, কারা তাঁকে হত্যা করেছে, তা নিশ্চিত হতে পারছেন না পরিবার।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান জানান, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে আটক করা হবে।