মেহেরপুর সংবাদদাতা, মেহেরপুর ১১ই জুলাই ॥ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গাতে সেকেন্দার আলী হত্যা মামলায় আব্দুল জাব্বার নামের এক জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ টিম এম মুসা এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামির ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যু কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে আদেশে বলা হয়েছে।
দন্ডিত আব্দুল জাব্বার গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের লালচাঁদ আলীর ছেলে। মামলায় বাকি ১৭ আসামিকে বেকুসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আদেশ ঘোষনার সময় মৃত্যুদন্ডাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল জাব্বার পলাতক ছিল।
খালাসপাওয়া আসামিরা হলেন-আজগর আলী, আশরাফুল ইসলাম, সেন্টু মিয়া, রাহাতুল ইসলাম,জাহেদ হোসেন, শাহাদত হোসেন, হাবিবুর রহমান,মিশকাত মিলিটারি, রফিকুল ইসলাম, রফিক উদ্দিন, কাফিরুল ইসলাম, আজাদ আলী, হুরমত আলী, কাউছার আলী, জিয়ারুল ইসলাম, আনারুল ডাক্তার ও মাহিরুন খাতুন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সেকেন্দার আলীর ভাই আব্দুস সাত্তারের একটি টেলিভিশন চুরি হলে আব্দুল জাব্বারসহ কয়েকজনের নামে থানায় একটি মামলা হয়। সে মামলার কারণে ক্ষোভের বশবর্তি হয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০৩ সালের ৬ জুলাই সন্ধ্যায় আসামিরা সেকেন্দারের উপর লাঠি সোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আব্দুল জাব্বার একটি ফলা দিয়ে সেকেন্দারের ঘাড়ের নিচে ঢুকিয়ে দিলে ফলাটি বুক দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সেকেন্দার আলীর স্ত্রী ফিরোজা খাতুন বাদি হয়ে পরদিন গাংনী থানায় ১৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তদন্ত প্রতিবেদন ও মামলার নথিপত্র বিশেল্লষন করে আদালত আব্দুল জাব্বারকে মৃত্যুদন্ডাদেশের আদেশ দেন। মামলায় ১৯ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামী আব্দুল জাব্বার পালাতক আছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষে সাথী বোস ও শফিকুল আলম আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।