ভেজাল গুড় বিক্রির অভিযোগে হাবিবুর রহমান, আবু বক্কর, জিয়া এবং দুলাল নামের ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল এবং জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক বেগম শারমিন নাহার এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামুন্দী মের্সাস ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকার ও আবু বক্কর আলী ছেলে, আবু বক্কর একই এলাকার আলিমুদ্দিনের ছেলে, দুলাল রামনগর গ্রামের আবু মণ্ডলের ছেলে এবং জিয়া কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা দৌলতখালী গ্রামের হেরেজ মন্ডলের ছেলে।
জানাগেছে, চলতি সালের ১৮ জানুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেহেরপুর সদর উপজেলা সেক্রেটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মেহেরপুর শহরের ওয়াপদা সড়কে ও গুড়ের আড়োতে অভিযান চালিয়ে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদবিহীন ৪০ টিন গুড় জব্দ করেন।
পরে এ ঘটনায় বিশুদ্ধ খাদ্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই গুড় পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকাতে পরীক্ষা নিরীক্ষা পর ওই গোলগুলো ভেজাল প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত বিশুদ্ধ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩/৪ এর ধারা ২৬ এ দোষ স্বীকার করায় আবু বক্করকে ১ বছর কারাদণ্ড এবং ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায় আরো ১ বছরের কারাদণ্ড ও ৪১ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল। হাবিবুর রহমানকে ২/২৪ এর ২৬ ধারায় ১ বছরের জেল, ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায় আরো ১ বছরের জেল ও ৪১ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায় আরো ৬ মাসের জেল। আবু বক্করকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমান, অনাদায়ে ১ বছরের জেল ও ৪১ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদাযে আরো ৬ মাসের জেল এবং দুলালকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরে জেল ও ৪১ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়। জিয়া কে ২৬ ধারায় ৩ লক্ষ টাকা জরিমান, অনাদায়ে ১ বছরের জেল ও ৪৩ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসে জেল দেওয়া হয়।