মেহেরপুর প্রতিনিধি ঃ পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ফিরাতুল ইসলাম নিহত হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। প্রায় ৬টির অধিক মামলার আসামি ফিরাতুল ইসলামের প্রাণপ্রিয় স্ত্রী-সন্তানেরা তাকে ছেড়ে দূরে চলে গেছে আগেই।- স্থানীয়রা এমন তথ্য দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে বন্দুক যুদ্ধে নিহত ফিরাতুল ইসলামের লাশ স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদিন বাদ আসর নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ পিরোজপুর গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার দাফন অনুষ্ঠানে নিকট আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের লোক-জন ছাড়া খুবই কম লোক উপস্থিত ছিলেন। এলাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছেন তার অপরাধে দিনের পর দিন মামলা বাড়তে থাকায় স্ত্রী সন্তানেরা তাকে ছেড়ে দূরে আছে।
উল্লেখ্য, সোমবার দিনগত মধ্যরাতে মেহেরপুর সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম খোকনের কাঁঠালবাগানে সন্দেহভাজন একদল সন্ত্রাসী অবস্থান করছিল। সেখানে পুলিশের একটি দল পৌঁছুলে তারা গুলি বর্ষণ করে। পুলিশ পাল্টা গুলি বর্ষণ করলে কিছু সময় বন্দুকযুদ্ধ চলতে থাকে। কয়েক মিনিট পরে স্থানীয় লোকদের সাথে নিয়ে সেখানে গেলে গুলিবিদ্ধ একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় একজন লাশটি পিরোজপুর গ্রামের সন্ত্রাসী ফিরাতুল ইসলামের বলে সনাক্ত করে। একই সময় পুলিশ সেখান থেকে একটি এলজি সার্টারগান, ৫ রাউন্ড গুলি, ৫ ককটেল ও তিনটি রামদা (দেশীয় অস্ত্র) উদ্ধার করে। নিহত ফিরাতুল ইসলামের লাশ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়। তাদেরকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানান, মেহেরপুরে এএসপি (সার্কেল) আহসান হাবীব।