মেহেরপুর প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকার রবিবার বিকেলে শহীদ সামছুজোহা পার্কে সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শেখ ফরিদ আহামেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক খাউরুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম সোইলাইমান আলী, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন সরদার, পৌর প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক প্রমূখ।
মেলায় ৫৪ টি স্টলে তরুণ উদ্যোক্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্ষধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে মেলায় সরকারের সাফল্যমন্ডিত অভিযাত্রার বিভিন্ন মাত্রার উপর জেলার সকল দপ্তর তাদের উদ্ভাবনী ও সরকারের ডিজিটাল বিষয়ক সাফল্য তুলে ধরা হয়।
সহকারি কমিশনার কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার ১১টি ক্যাটাগরীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহকে পুরস্কৃত করা হয়। জেলার শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল সেন্টার হল কাজিপুর ইউনয়ন ও বাহোয়ান ইউনিয়ন, শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল সরকারি মহিলা কলেজ ও জোড়পুকুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্রেষ্ঠ দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রতিষ্ঠান জেলা সমাজসেবা ও জেলা যুব উন্নয়ন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নাগরিক সেবায় উদ্ভাবক বাস্তবায়ন করে মেহেরপুর জেলা পুলিশ, শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাংনী, ৩টি শ্রেষ্ঠ তরুণ উদ্ভাবক হল সেলফ প্রোটেক্ট এ্যাপস এ সাদ্দাম হোসেন, সোহেল হোসেন, বালাইনাশক প্রোজেক্টের উপর তাসমিন, শ্রেষ্ঠ স্টল মেহেরপুর পৌরসভা, শ্রেষ্ঠ ই-সেবা প্রদানকারী দপ্তর(ডিসি অফিস বাদে) জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, শ্রেষ্ঠ পোর্টালের দপ্তর জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা, ১২জন শিক্ষার্থীকে মুক্তিযোদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর গল্প‘ বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগীতায় পুরস্কৃত , ১২জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয় আমার চোখে ডিজিটাল বাংলাদেশ“ বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ও প্রতিযোগীতায় । এছাড়াও জেলা ৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানিত করা হয় ও জেলা প্রশাসকের নিজ উদ্যোগে ফিল্যান্সী গ্রাফিক্স এর উপর ২৩ জন শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষন করান। এদের মাঝে সনদ পত্র প্রদান করা হয়।