তদন্ত শুরু : মৌখিকভাবে ক্লিনিক বন্ধ রাখার নির্দেশ
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুরের গাংনীতে রবিউল ইসলাম মেমোরিয়াল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার জটিলতায় শুকজান খাতুন (৩০) নামের এক প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটি কিছু না বললেও সিভিল সার্জন মৌখিকভাবে ক্লিনিক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে তদন্ত কাজে প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে তদন্ত কমিটির সভাপতি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট ডা. বিপুল কুমার দাসের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা রবিউল ইসলাম মেমোরিয়াল হাসপাতালে তদন্ত শুরু করেন। এসময় তদন্ত কমিটির প্রধান সিভিল সার্জনকে অবহিত করলে তিনি সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাসকে নিয়ে তদন্তস্থলে হাজির হন।
রবিউল ইসলাম হাসপাতালের মালিক তরিকুল ইসলাম জানান, তদন্ত কমিটির সাথে সিভিল সার্জন এবং সদর ও গাংনী উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত কমিটি চলে যাওয়ার সময় সিভিল সার্জন মৌখিকভাবে ক্লিনিক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কি কারণে বন্ধ রাখবো, আমার অপরাধ কি এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর দেননি।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. বিপুল কুমার দাস বলেন, বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ কাটিং আমাদের ফাইলে রয়েছে। পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে ক্লিনিকের সকল স্টাফের সাথে কথা বলেছি। ক্লিনিক মালিকসহ অভিযুক্ত চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেছি। এখনো দুই জন স্টাফের সাথে কথা বলা হয়নি। তিনি বলেন, সিভিল সার্জন মৌখিকভাবে ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। তবে তিনি ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিলে আমি ক্লিনিক চালু রাখার ব্যাপারে সিভিল সার্জন অবহিত করবো। কারণ তদন্তে ক্লিনিকের বিভিন্ন স্টাফের সাথে পুনরায় কথা বলা লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে ক্লিনিকি খোলা রাখতে হবে। তবে সিভিল সার্জন ডা. জিকেএম সামসুজ্জামান বলেন, প্রশাসনিক ক্ষমতায় ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত তদন্তের গতিতে চলবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই শুক্রবার দুপুরে ভবানীপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের স্ত্রী শুকজান খাতুনের সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। এসময় অপারেশন জনিত ক্রটির কারণে তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে ক্লিনিক মালিক গাংনী হাসপাতালের আর এমও এমকে রেজাকে অভিযুক্ত করেন। এমকে রেজা পাল্টা ক্লিনিক মালিক তরিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করেন। এনিয়ে একটি ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ১ আগষ্ট বুধবার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট ডা. বিপুল কুমার দাসকে সভাপতি করে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- গাংনী হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার সজিব উদ্দীন স্বাধীন ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ফয়সাল কবির।