নিউজ ডেস্ক:করোনাভাইরাস আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা চড়া মূল্যে দ্রব্যমূল্য বিক্রি করায় মেহেরপুর শহরের বড় বাজারে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে পণ্যের অতিরিক্তি মূল্য নেওয়ায় দুই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন এ আদালত পরিচালনা করেন। ভোক্তা অধিকার আইনের ৪০ ধারায় বড বাজারের চাল ব্যবসায়ী আবদুস সাত্তারের ছেলে হাফিজুলের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করায় ফকির মোহাম্মদের ছেলে রকিবুলের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মেহেরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন জানান, করোনাভাইরাস আতঙ্কে সাধারণ মানুষ বেশি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে শুরু করেছেন। আর এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছেন, এমন খবরের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চাল ও পেঁয়াজের মূল্য বেশি রাখায় ভোক্তা অধিকার আইনের ৪০ ধারায় চাল ব্যবসায়ী বড় বাজারের আবদুস সাত্তারের ছেলে হাফিজুলের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করায় ফকির মোহাম্মদের ছেলে রকিবুলের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় তিনি প্রতি ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দেন এবং এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
অপর দিকে, গতকাল রোববার বিকেলে গাংনী উপজেলার হেমায়েতপুর বাজারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে হেমায়েতপুর গ্রামের সপেত আলীর ছেলে ও হামিদুল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মিঠু রহমানকে মেয়াদোত্তীর্ণ আইসক্রিম রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা এবং একই গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে টিটু স্টোরের স্বত্বাধিকারী রাজিউল ইসলামকে মূল্য তালিকা নির্ধারণ না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বাজারের চায়ের দোকানে বসার জন্য অতিরিক্ত মাচা ও বেঞ্চ সরিয়ে ফেলা, টিভি বন্ধ রাখা, গণজমায়েত না করা, ওয়ানটাইম কাপ ব্যবহার এবং করোনাভাইরাসের সকল নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলারা রহমান। ভ্রাম্যমাণ আদালতে সহযোগিতা করেন গাংনী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাতাব আলীসহ উপজেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তা -কর্মচারীবৃন্দ।