চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ বাজার ও দর্শনাসহ পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত ৬
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ১ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৃথক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। পৃথক এ সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়া ছাগলাপাড়ার মৃত আক্কাস আলীর ছেলে জাফর আলী (২৪)। ও পৃথক এ সড়ক দূর্ঘটনায় আহতরা হলো চুয়াডাঙ্গা তিতুদহের ৬৩নং আড়িয়া গ্রামের ব্যাপারি পাড়ার বিমল চন্দ্রঁ শাহার ছেলে সুজন চন্দ্রঁ শাহা (২৬), নজরুল ইসলাম (বাসের যাত্রী), ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলা নেপা ইউনিয়নের বাকোসপোতা বাজার পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল হক (৩৮), নাজমুল হকের স্ত্রী ইসমত আরা (২৫), তাদের মেয়ে নুসরাত জাহান (৩) ও চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার ভাংবাবাড়িয়া ইউনিয়নের খোরদ গ্রামের লোকমানের স্ত্রী পারভীন (৬০)।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পূর্বাশা পরিবহনের একটি বাস গতকাল সকাল ৫টার সময় আলমডাঙ্গা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথিমধ্যে সকাল ৬টার দিকে বাসটি চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের বদরগঞ্জ বাজারে পৌছায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হয় বাসের হেলফার জাফর, সুপারভাইজার সুজন চন্দ্রঁ ও বাসের যাত্রী নজরুল ইসলাম। স্থানীয় লোকজন ও দু’একজন যাত্রী এদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বাসের সুপারভাইজার সুজন চন্দ্রঁ ও বাসের যাত্রী নজরুল ইসলামকে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং বাসের হেলপার জাফরকে মৃত ঘোষনা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেলযোগে স্বপরিবারে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে দর্শনা পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পৌছলে মোটর সাইকেলর উপর একটি হাইভোল্টেজের বৈদ্যুতির তার ছিড়ে পড়লে মোটর সাইকেলর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নাজমুল হক তার স্ত্রী ইসমত আরাসহ তাদের মেয়ে নুসরাত জাহান আহত হয়। এ সময় স্থানিয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
অপরদিকে, ভাংবাবাড়িয়া থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার সময় আলমসাধু দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় পারভীন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে বাস দুর্ঘটনার নজরুল ইসলাম (বাসের যাত্রী), প্রথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে ও অন্যান্যরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাই ছিল।