নিউজ ডেস্ক:
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল কিনবে সরকার। প্রতি টন চালের দাম পড়বে ৪৪২ ডলার। চাল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রোববার বাংলাদেশে আসে। ১ লাখ টন আতপ চাল আমদানির বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা প্রতি টন আতপ চালের জন্য ৪৪২ ডলার প্রস্তাব করেছি। এতে তারা রাজি হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব। সেখানে অনুমোদনের পর তা সরকারি ক্রয় কমিটিতে পেশ করব। ক্রয় কমিটি সেটি অনুমোদন করলে এলসি খোলা ও চাল আমদানি শুরু হবে।
মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়েছে কি না, জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সব কিছু ফাইনাল হয়েছে। এর বাইরে আমি কিছু বলতে পারব না।
মিয়ানমারের চাল কবে নাগাদ বাংলাদেশে পৌঁছাবে? এ প্রশ্নের জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, কিছু প্রক্রিয়া তো আছে। আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করতে একটু সময় লাগবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের রাইস ফেডারেশনের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসে। রোববার তাদের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক হয় খাদ্য সচিবের। ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির বিষয়ে বৈঠকে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়।
সূত্র আরো জানায়, বৈঠকে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চালের দরদাম ঠিক করা হয়। তারা প্রতি টন চালের দাম ৪৫৫ ডলার প্রস্তাব করে। কিন্তু বাংলাদেশ প্রস্তাব করে ৪৪২ ডলার। পরে তারা চাল রপ্তানির জন্য রাজি হয়। মিয়ানমার এসব চাল দুই দফায় বাংলাদেশে রপ্তানি করবে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে মিয়ানমারের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়ে দেশটির প্রতিনিধিদল। এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল চাল আমদানির বিষয়ে আলোচনা করতে মিয়ানমার যান।