বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

মিশরীয় নারীদের সম্পর্কে যে তথ্য আপনাকে অবাক করবে !

নিউজ ডেস্ক:

নারীদের যৌনাঙ্গ ছেদ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধর্মীয় কারণে, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রথার নামে করা হয় এই ষন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া। এর বিরুদ্ধে নিয়ম অনেক রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দেশের মতো মিশর, আফ্রিকার কোন কোন এলাকায় নিয়মের তোয়াক্কা করে না আম জনতার একাংশ। ফলে নির্বিচারে চলে কিশোরী কন্যাদের যোনিচ্ছেদ প্রক্রিয়া।

কিন্তু এবার ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রথার নামে এই যন্ত্রণাদায়ক প্রথার অবসান করতে উঠে পড়ে লেগেছে মিশরের প্রশাসন। কারণ সাম্প্রতিক সমীক্ষায় তাদের সামনে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সে দেশের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নারীরাই যোনিচ্ছেদের ফলে যৌনসঙ্গমের সময় অর্গ্যাজম নামক সুখানুভূতি থেকে বঞ্চিত।

যন্ত্রণাদায়ক এই প্রক্রিয়ায় নারীদের যোনির অনেকটা অংশই শরীর থেকে বাদ চলে যায়। ফলে তাঁদের শরীর যৌনক্রিয়ায় অনেক পড়ে সাড়া দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যৌনক্রিয়ার সময় নারীরা কোনো অনুভূতিই অনুভব করতে পারছে না। মিলনের সময় যখন একটি শরীর সাড়াই না দেয় তাহলে সঙ্গীও সুখানুভূতি থেকে বঞ্চিত হন। যার ফলে বাড়ছে দাম্পত্য কলহ এবং বিচ্ছেদের মতো ঘটনা।

মিশরে ইতিমধ্যেই নারীদের যৌনাঙ্গ ছেদের প্রক্রিয়াকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ এই প্রক্রিয়ায় শামিল থাকলে তাঁর ন্যূনতম সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বলে জানা গেছে।  এতদিন সেভাবে এই আইন প্রয়োগ করা হত না। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষায় টনক নড়েছে প্রশাসনের। তাই নারীদের অবৈধ যোনিচ্ছেদের বিষয়টি নিয়ে আরও কড়া হতে চলেছে সে দেশের সরকার।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular