নিউজ ডেস্ক:
রুশ প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন কোনো আমেরিকান কূটনীতিককে তিনি এখন রাশিয়া থেকে বহিষ্কার করবেন না।যুক্তরাষ্ট্র ৩৫ জন রুশ কূটনীতিককে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দেবার পর রাশিয়াও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হছিল।
কিন্তু পুতিন বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী মাসে হোয়াইট হাউসে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন আমেরিকান কূটনীতিকদের জন্য তারা কোনো সমস্যা তৈরি করতে চান না। ‘আমরা কাউকে বহিষ্কার করতে চাই না।’
ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে দেয়া ভ্লাদিমির পুতিনের বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে নতুন বছরের ছুটির মওশুমে আমেরিকান কূটনীতিকরা পরিবার ও ছেলেমেয়ে নিয়ে যেসব জায়গায় ছুটি কাটাচ্ছেন সেগুলোও তারা বন্ধ করছেন না। তিনি বরং আমেরিকান কূটনীতিকদের পরিবারগুলোকে ক্রেমলিনে বড়দিনের উৎসবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
শুক্রবার আরো আগে টেলিভিশনে এক ভাষণ দিয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদিয়েফ জানিয়েছিলেন তার মন্ত্রণালয় প্রেসিডেন্ট পুতিনকে রাশিয়া থেকেও ৩৫ জন আমেরিকান কূটনীতিককে বহিষ্কারের পরামর্শ দিয়েছে। রাশিয়ায় আমেরিকানদের ছুটি কাটানোর কটেজ ও ওয়্যারহাউস বন্ধ করে দেওয়ারও পরামর্শ তারা দিয়েছিলেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্ষমতায় তার মেয়াদ শেষের সময় ‘রুশ- বিদ্বেষী মৃত্যু ঘণ্টা বাজাচ্ছেন।’
আমেরিকার অভিযোগ সেদেশের সদ্য-সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া নাক গলিয়েছে আর এই সন্দেহে শাস্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ৩৫ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রাশিয়া অবশ্য ডেমোক্রাটিক পার্টির ইমেলে কোনোরকম হ্যাকিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে।
মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রাটিক পার্টি ও তাদের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রচারে নাক গলাতে রাশিয়া সাইবার হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ওবামা আগেই বলেছিলেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
আমেরিকার অভিযোগ হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা ম্যানেজারের ইমেল এবং ডেমোক্রাটিক ন্যাশানাল কমিটির সার্ভার হ্যাক করে ডেমোক্রাটদের সম্পর্কে অস্বস্তিকর তথ্য উইকিলিকস্ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা যখন তুঙ্গে তখন ছড়িয়ে দেয়া হয় এবং এই সাইবার হামলা চালায় রাশিয়া।
তবে ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন সরকার যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতা নেবে এবং ট্রাম্প ইতোমধ্যেই বলেছেন রাশিয়ার সাথে আমেরিকার সম্পর্ক উন্নয়নে তিনি আগ্রহী।ট্রাম্প তার প্রশাসনে শীর্ষ পদে যাদের মনোনীত করেছেন রাশিয়ার সাথে তাদের বন্ধুসুলভ সম্পর্ক রয়েছে।