নিউজ ডেস্ক:
যান্ত্রিক জীবনে মানুষের কাজের চাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। সবাই কম-বেশি চাপের মধ্যেই থাকেন।
দুশ্চিন্তা করেন। আবার মানসিক চাপ থেকেই অনেকে নানা রোগে আক্রান্ত হন। তবে এ থেকে মুক্তির উপায় আছে। এমন কিছু ব্যবস্থা আছে যেগুলো অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে উদ্বেগজনিত ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়। তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই সেই উপায়গুলো সম্পর্কে।
বন্ধুত্ব করুন
সমাজে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বাস করলে মানসিক চাপ বাড়ে। ২০০৬ সালের এক জরিপ দেখা গেছে প্রতি মার্কিনীর গড়ে ২ জন করে ঘনিষ্ঠ বন্ধু আছে। যাদের কাছে নিজের গভীর উদ্বেগের কথাগুলো বলে নিজেরা হাল্কা হতে পারে। ২০ বছর আগেও তাদের গড়ে ৩ জন করে বন্ধু ছিল।
মাঝে মাঝে ছুটি নিন
প্রতিদিনের ঝক্কি-ঝামেলা থেকে মাঝে মাঝে ছুটি নিলে আপনার মস্তিষ্ক থেকে আবর্জনা দূর হয়। মস্তিষ্কসহ শরীরের যেসব কোষ ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে সেগুলো আবার সবল হওয়ার সুযোগ পায়।
প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খান
অত্যধিক পরিশ্রম, মানসিক চাপের ফলে আপনার শরীরে যেসব ক্ষতিকর পদার্থ সৃষ্টি হয়, ফলমূল ও শাকসবজি তা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস
নিয়মিতভাবে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের অভ্যাস করুন। ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিলে বা ছাড়লে মস্তিষ্ক বুঝে নেয় যে, আপনি ঝক্কি-ঝামেলামুক্ত হয়েছেন। আপাতত বিপদের আশঙ্কা নেই। এতে আপনার সারা শরীর একরকম বিশ্রামের সুযোগ পায়। ফলে আপনার রক্তচাপ কমে এবং রক্ত থেকে অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর পদার্থগুলো অপসারিত হয়।
সময়মতো ঘুমাতে যান
দেরিতে ঘুমানোর অর্থই হল বেশি মানসিক চাপ, বেশি ক্লান্তি। এতে আপনার বিপাকীয় ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
নিয়মিত ব্যায়াম
মানসিক চাপ, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ইত্যাদির ফলে আপনার হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম আপনার হার্টকে সুস্থ-সবল রাখতে সাহায্য করে। ব্যায়াম আপনার এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে মনসংযোগ করার সামর্থ্যকে চাঙ্গা রাখে।
যা করছেন আনন্দের সঙ্গে করুন
আপনি যা করছেন তা ভাল কাজ এবং এর জন্য দরকারে আপনি ত্যাগ করতেও প্রস্তুত- এমন একটা মনোভাব নিয়ে কাজ করলে আপনার জন্য কাজটা সহজ হয়ে উঠবে। চাপ কমবে। তবে তারপরও আপনার মাঝে মাঝে ছুটি প্রয়োজন।