মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নুর জেনারেল হাসপাতালে এক নারীর জরায়ু টিউমারে ভুল অস্ত্রোপচারের অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে মৃত্যুশয্যায় রয়েছে রোগী। ফলে ওই নারীর স্বজনরা দোষীদের বিচারের দাবিতে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে হাসপাতালে ভিড় করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সাথে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে ওই নারীকে সুস্থ করার দাবিও তোলেন।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগে জানা যায়, জেলার রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের দুর্গাবদ্দি গ্রামের রিপন বেপারীর স্ত্রী মিনা বেগমের জরায়ুতে টিউমার ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাতে নুর জেনারেল হাসপাতালে আসেন। তখন হাসপাতালে ইমরান খান নামে এক চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর আশ্বাস দিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।
সেই কথা অনুযায়ী রিপন বেপারী টাকা দিয়ে অস্ত্রোপচারের জন্য রাজি হয়। পরে রাত ৯টার দিকে ওই নারীর জরায়ুতে টিউমারের অস্ত্রোপচারের চেষ্টা করেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু টিউমারটি বড় আকারের হওয়ায় চিকিৎসক অপূর্ব মল্লিক অস্ত্রোপচারের মাঝপথে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে বিপাকে পড়েন ওই নারী। পরে ক্ষতস্থানে সেলাই দিয়ে তড়িঘড়ি করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় রেফার্ড করেন।
শনিবার দুপুরে ওই মহিলার স্বজনরা হাসপাতালে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই নারীকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস দেন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রিপন বেপারী বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে ভুল করে অর্ধেক অপারেশন করে ডাক্তাররা সবাই চলে গেছে। এখন সে মৃত্যুর মুখে। কিন্তু কাউকে পাচ্ছি না। হাসপাতালের লোকজন যদি অপারেশন করাতে না পারতো, তাহলে কেন তারা অপারেশন করতে গেলো। আমার এই ক্ষতিপূরণ কে দিবে। আমি এদের বিচার ও শাস্তি দাবি করি।’
তবে নুর জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার অপূর্ব হালদার বলেন, ‘অপারেশন করতে গেলে দেখা যায়, টিউমারটি বড় হয়ে গেছে। ফলে আর অপারেশন করা সম্ভব হয়নি। এটা ঢাকার পিজিতে করাতে হবে। আমরা রোগীকে রেফার্ড করে দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের ভুল চিকিৎসা হয়েছে বলে দাবি করেছে। তাই আমাদের দায়িত্বেই পিজিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে তার উন্নত চিকিৎসা করা হবে।’