মাইজভান্ডারের ওরশের প্রধান দিবস আগামীকাল শুক্রবার, সমাগম হচ্ছে লক্ষ আশেকের

0
2

ডেস্ক রিপোর্ট:

বিশ্ব সমাদৃত বাংলাদেশে প্রবর্তিত মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর ১১৯তম বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে তাঁর মাজারে গিলাপ চড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রওজায় গিলাপ চড়ান গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী এবং নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী।পরে রওজা প্রাঙ্গণে তাওয়াল্লোদে গাউছিয়া, জিকির ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সাজ্জাদানশীন সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী।

মাইজভাণ্ডার তরিকার প্রবর্তক গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী মওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) প্রকাশ হযরত কেবলার ১১৯তম ওরশ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকা মাইজভাণ্ডারী কালাম পরিবেশনের মাধ্যমে ঢোলবাদ্য বাজিয়ে গরু, মহিষ, ছাগলসহ বিভিন্ন হাদিয়া নিয়ে দলে দলে ভক্ত-আশেকরা আসছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে।

ওরশের প্রধান দিবস শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিল শাহী ময়দানে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি শৃংখলা, কল্যাণ ও মুক্তি কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন সাজ্জাদানশীন সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী। এছাড়াও এদিন দরবারের স্ব স্ব মনজিলে কেন্দ্রীয় মিলাদ মাহ্ফিল ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন স্ব স্ব মনজিলের সাজ্জাদানশীলরা।

ওরশ উপলক্ষে ২৩, ২৪ ও ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর থেকে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ পর্যন্ত বিআরটিসি’র বিশেষ বাস সার্ভিস চালু রয়েছে বলে জানান গাউসিয়া হক কমিটির কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল। তিনি আরো জানান, মহান ১০ মাঘ ওরশ শরীফ উপলক্ষে গাউসিয়া হক মঞ্জিল প্রতিষ্ঠিত শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।

ওরশ শরীফে প্রায় ২০ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন মঞ্জিলের দায়িত্বশীলরা। ওরশে আগত ভক্তদের নিরাপত্তা বিধান এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে একজন ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেটসহ তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এছাড়া প্রশাসনের সমন্বয়ে রয়েছে মনজিল কর্তৃপক্ষের হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক।এদিকে, ওরশ শরীফ কেন্দ্র করে বসেছে সেখানে বসেছে গ্রামীণ লোকজ মেলা।

প্রতিবছরের মতো এবারও ওরশে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, চায়না, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ওমানসহ নানা দেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্ত অংশ নিচ্ছেন।
এছাড়া মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় গাড়ি পার্কিংসহ মেহমানদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে থাকা, সময়মতো জামাত সহকারে নামাজ আদায়, বিশুদ্ধ পানীয় জল, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, আলোকসজ্জা, এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির বিপুলসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও মাইজভাণ্ডারী স্পেশাল ফোর্স (এমএসএফ) দায়িত্ব পালন করছে।