নিহতের স্ত্রী নিমি বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী তরিকা মনা লোক হওয়ায় মাঝে মধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন তার কাছে আসে। গতকাল রাতেও দুইজন লোক এসেছিল। তারা আমার কাছে ভাত খেতে চায়, আমি অসুস্থ থাকায় ঘরে যা ছিল তাই তাদের খেতে দিই। পরে রাতে থাকার জন্য তাদেরকে বালিশ বের করে দিই। রাত গভীর হলে তারা আমাকে অন্য ঘরে আটকে রেখে আমার স্বামীকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সকালে আমি ঘরের জনালা ভেঙ্গে বের হয়ে এসে প্রতিবেশীকে বিষয়টি জানাই।
নিহতের বোন শেফালী খাতুন ও স্থানীয়রা বলেন, সকালে নিমি বেগম চিৎকার করে বলতে থাকে আমার স্বামীকে দু’জন লোক গলাকেটে মেরে রেখে গেছে। তার কথাতে আমরা ঘরে ঢুকে দেখি শাহজাহান আলীর লাশ উপুর হয়ে পড়ে আছে। খাট থেকে মেঝেতে রক্ত গড়িয়ে পরছে। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঝিনাইদহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, নিহতের স্ত্রী নিমি বেগমকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে যে বা যারা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবো।
নিহত শাজাহান ফকিরের এমন মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় বইছে শোকের মাতম। স্বজনেরা দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।