নিউজ ডেস্ক:
মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে বহুদিন ধরে বৈজ্ঞানিক মহলে চলছে নানা আলোচনা পর্যালোচনা। এমনকি বিজ্ঞানীদের একটি বড় অংশের বিশ্বাস গ্রহটি একসময় পৃথিবীর মতই সুজলা সুফলা ছিল। এবার সেই দাবিকে আরও জোরালো করে তুলেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কিউরিওসিটি রোভারের তোলা একটি ছবি।
নাসার প্রকাশিত সেই ছবিতে দুটি বস্তু দেখা গেছে। গবেষকদের একাংশ ধারণা করছেন- সেগুলো একটি গাছের অংশ ও এক ভিনগ্রহী প্রাণির মাথার খুলি। নাসার প্রকাশিত এক ভিডিওতে লেখা রয়েছে, এই বস্তুটি একটি মঙ্গোলীয় গাছের প্রস্তরীভূত অংশ হতে পারে। চলতি বছরের মার্চ মাসে ছবিটি তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসা।
বিষয়টি প্রথম প্রকাশিত হয় ইউটিউব চ্যানেল ‘প্যারানরমাল ক্রুসিবল’-এ। ওই ইউটিউব ভিডিওতে বলা হয়েছে, গাছের মত দেখতে বস্তুটি লম্বায় ৩ ফুট। মঙ্গল গ্রহে এক সময় প্রাণি ও উদ্ভিদের অস্তিত্ব ছিল, এটা মেনে নেওয়ার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। এখনো হয়তো ওই গ্রহে গাছের অস্তিত্ব রয়েছে।
বিখ্যাত মঙ্গলগ্রহ গবেষক স্কট সি ওয়ার্নিং বলেছেন, প্যারানরমাল ক্রুসিবলের ধারণা সমর্থন যোগ্য। এক সময় পৃথিবীর মতোই প্রাণের অস্তিত্ব ছিল মঙ্গলে। তবে হয়তো এক সৌরবিস্ফোরণের ফলে ওই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব লোপ পায়।
ওই গবেষক আরও দাবি করেছেন, ওই ছবিতে শুধু গাছ নয়, একটি ভিনগ্রহী প্রাণীর মাথার খুলিও দেখা গেছে। প্রায় মানুষের মাথার মতোই গঠন খুলিটির।
ওই খুলিটি প্রমাণ করে যে একসময় মঙ্গলে বুদ্ধিমান প্রাণিরা বাস করত। তবে এই তথ্য খারিজ করেছে নাসা। তাদের দাবি ওই বস্তুগুলো পাথর ছাড়া আর কিছুই নয়। সংস্থাটি আরও দাবি করেছে ওই পাথরের টুকরোগুলোকে গাছ ও খুলি বলে দাবি করার কোনও কারণ নেই৷
প্রসঙ্গত, মহাবিশ্বে প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজার পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে নাসা। এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে যার দ্বারা আরও সহজ হয়ে উঠবে ভিনগ্রহে প্রাণের সন্ধান। প্রাণ সৃষ্টির মূল উপাদান হচ্ছে অ্যামিনো অ্যাসিড। ওই অ্যাসিড বিশ্লেষণ করে প্রাণের সন্ধান পাওয়া খুব সহজ।
তাই নাসা এবার কেপিলারি ইলেক্ট্রোফরেসিস নামে এক পদ্ধতির দ্বারা অ্যামিনো অ্যাসিড বিশ্লেষণ করছে। পৃথিবীতে ছিটকে আশা গ্রহাণুতে অনেক সময় অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়। ওই অ্যাসিড পরীক্ষা করে জৈব উপাদান খুঁজে বের করতে তৈরি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটি।