আশুলিয়ায় ভ্যানে লাশের স্তূপে ছিল বায়েজিদ বোস্তামি নামে এক শ্রমিকের মরদেহ। ৭ মাসের সন্তান নিয়ে এখন দিশেহারা বায়েজিদের স্ত্রী। সন্তানের মুখে খাবারও দিতে পারছেন না। কী করে কাটছে ওই পরিবারটির দিন?
৫ আগস্ট বিজয় মিছিলের দিন গুলি করে হত্যার পর ভ্যানে লাশের স্তুপ করে নিয়ে যায় পুলিশ। থানার সামনে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয় লাশগুলো।
ওই লাশগুলোর একটি ২৬ বছর বয়সী পোশাক শ্রমিক বায়েজিদ বোস্তামি। কাজের পাশাপাশি লেখাপড়াও করছিল সে। হত্যার পরদিন রিনাকে ফোন করে পুলিশ, থানায় যাওয়ার পর তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় নীল পলিথিনে মোড়ানো বায়েজিদের পোড়া লাশ।
বায়েজিদ বোস্তামির স্ত্রী বলেন, খুব সুখে সংসার করছিলাম। হঠাৎ সংসারে এভাবে দুর্ঘটনা ঘটবে, সেটা ভাবিনি কোনদিন।
৭ আগস্ট মরদেহ দাফন করা হয় বায়েজিদের বাড়ি নওগায়। তারপরই সন্তানসহ বের করে দেয়া হয় রিনাকে। সাথে টাকা যা ছিল তাও রেখে দেয় শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ফিরে এসে এখন সে বোনের বাসায়। কাজ খুঁজছেন, না হয় না খেয়ে মরবে আদরের সন্তান।
বায়েজিদ বোস্তামির স্ত্রী আরও বলেন, যেদিন স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে এসেছি, ওইদিন সে যেই ফ্যাক্টরীতে কাজ করতো, সেখানে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়েছিলো, যাতায়াতের খরচ বাদ দিয়ে। এই টাকাগুলো এখন আমার শাশুড়ির কাছে। তারা বলে যে সেই টাকাগুলো দিতে পারবে না।
২ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল রিনা-বায়েজিদ। স্বামীকে অন্যায়ভাবে হত্যার বিচার চান রিনা। তবে এখনো জানেন না মামলা কিভাবে করবেন।