নিউজ ডেস্ক:
আচমকা হাতে চলে এসেছিল ১০ লাখ টাকা। আনন্দে আত্মহারা হয়ে তা খরচও করতে শুরু করে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়াল্টার সিসুলু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীটি।
দামি ফোন, জামা কাপড়, বিলাসব্যসনের যাবতীয় সবকিছুই কনে ফেলেন। টাকা উড়ল পার্টিতে, আমোদে, প্রমোদে। ভালই চলছিল সবকিছু। কিন্তু হটাত করেই দেখা গেল বিপত্তি। ।
টাকা খরচ করতে করতেই মেয়েটি জানতে পারে, যে টাকার ভরসায় সে এইভাবে জীবন কাটাচ্ছে, সেই টাকা এসেছিল ভুল করে এবং তা তুলেও নেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার খরচ দেয় এমন এক সংস্থা ভুল করে জুন মাসে তার অ্যাকাউন্টে ১৪ মিলিয়ন র্যান্ড জমা করে, ডলারে যার মূল্য ১ মিলিয়ন বা টাকার হিসেবে ১০ লাখ। যদিও খাওয়ার খরচ হিসেবে আসলে তার ১০৭ ডলারের বেশি পাওয়ার কথা ছিল না।
কোথা থেকে এত টাকা এল, তা জানার চেষ্টা না করেই আনন্দে পাগল ছাত্রীটি টাকা খরচ করতে শুরু করে। জুন মাসে তার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে ওই ১০ লাখ টাকা। আর আগস্টের মধ্যেই সে খরচ করে ফেলে ৬১,২৫০ ডলার। স্বাভাবিকভাবেই ঈর্ষান্বিত সহপাঠীরা তার এই দহরম মহরম সহ্য করতে পারেনি।
সোমবারই তার এক সহপাঠী এই ভুল সম্পর্কে সংস্থাটিকে জানায়। সঙ্গে সঙ্গেই মেয়েটির অ্যাকাউন্ট থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় বাকি টাকা। সংশ্লিষ্ট সংস্থা জানিয়েছে, ছাত্রীটিকেই শোধ করতে হবে খরচ করা টাকা। কারণ চুক্তি অনুযায়ী ধার নেওয়া টাকা ফেরত দিতে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত করে দেখছে, এত টাকা ওই ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে গেল কী করে।