নিউজ ডেস্ক:
ভিসা থাকা সত্ত্বেও মোহাম্মদ জাকির হোসেন (৪৫) নামে বাংলাদেশি এক ব্যবসায়ীকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসার মেয়াদ ছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত থাকলেও বিজনেস ভিসায় শিকাগো এয়ারপোর্টে অবতরণের পরই বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়া হয় তাকে। এদিকে বরিশালের সন্তান জাকিরের এমন ঘটনায় ভিসাধারীরা হতভম্ব হয়েছে।
জানা যায়, জাকির হোসেন ঢাকা থেকে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে হংকং পৌঁছান ২৮ মার্চ। একইদিন কানেকটিং ফ্লাইটে শিকাগো ও’হেয়ার এয়ারপোর্টে আসেন। ইমিগ্রেশন লাইনে দাঁড়ানোর পর কাস্টমস অফিসার তার সফরের উদ্দেশ্য জানতে চান।
এর আগেও কয়েক দফা তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন একই ভিসায়। কিন্তু এবার কী ধরনের ব্যবসার জন্যে এসেছেন সে সব তথ্য কাস্টমস অফিসারের সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম না হওয়ায় সাথে সাথে তার ভিসা বাতিল করে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে আরেকটি ফ্লাইটে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে এ সংবাদদাতাকে জানান শিকাগো কম্যুনিটির নেতা মো. শামসুল ইসলাম।
ভিসা থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে ফেরৎ পাঠানো হলো এমন প্রশ্ন করেছিলেন শিকাগোস্থ বাংলাদেশের অনরারী কন্সাল জেনারেল মুনির চৌধুরী। ইমিগ্রেশন এবং এয়ারপোর্টের শীর্ষ কর্মকর্তারা তাকে জানিয়েছেন, ভিসা থাকলেই যে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দিতেই হবে, এটি সত্য নয়। কাস্টমস কর্মকর্তার সন্দেহ কিংবা সংশয় সৃষ্টি হলে সেই ভিসাধারীকে কালক্ষেপণ না করে নিজ দেশে ফিরিয়ে দেয়ার পুরো অধিকার রয়েছে।
এ সংবাদদাতাকে মুনির চৌধুরী আরো জানান, ‘জাকির হোসেনকে ফিরতি ফ্লাইটে উঠিয়ে দিতে দু’ঘন্টার বেশী সময় লাগেনি বলে আমি এয়ারপোর্টে কাস্টমস অফিসারদের সাথে কথা বলার সময়েই জাকিরের ফ্লাইট উড়াল দেয়। তা’না হলে আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা চালাতে পারতাম। যদিও যে কোন ভিসাধারীর ভিসা কাস্টমস কর্মকর্তারা যে কোন সময় বাতিলের অধিকার রাখেন।
জাকিরের ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয় থাকেন ফিলাডেলফিয়া। তাদের সূত্রে জানা গেছে, জাকির স্টুডেন্ট ভিসায় অনেক আগে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। তিনি নিউইয়র্ক অঞ্চলের একটি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশনও করেছেন। তারপরই বিজনেস (বি১বি২ ভিসা) ভিসায় মাঝেমধ্যেই আসা-যাওয়া করেন। দুই সন্তানের জনক জাকির হোসেনকে এয়ারপোর্টে আটক করার সংবাদ জানার পরই তার আত্মীয় জাবেদ আহমেদ ফিলাডেলফিয়া থেকে একজন এটর্নী নিয়োগ করেন। সেই এটর্নী চেষ্টা করেন এয়ারপোর্ট কর্মকর্তাদের সাথে টেলিফোনে কথা বলতে। কিন্তু কেউই ফোনে কোন তথ্য দেননি।
অপর একটি সূত্র জানায়, শিকাগোর পরিবর্তে জেএফকে এয়ারপোর্টে অবতরণ করলে কাস্টমস অফিসার এতটা রূঢ় আচরণ করতেন না। কারণ, এর আগে প্রতিবারই তিনি জেএফকে-তে অবতরণ করেন।