শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের ভিসাপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়নি। কেবল যারা চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে চান, তাদেরই জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া হবে অগ্রাধিকার। এ ছাড়া আপাতত শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান করা হবে বলেও জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ-ভারত ভিসা নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জসওয়াল। এ সময় তিনি বিষয়টি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন।
নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে মেডিকেল ভিসা ও জরুরি ভিসা ইস্যু করেছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির (বাংলাদেশে) উন্নতি হলে এবং পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হবে।’
প্রতিবছর লাখ লাখ বাংলাদেশিকে ভিসা দিলেও হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত এই সেবা বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে দেশটির মেডিক্যাল ও জরুরি ভিসা চালু আছে।
শেখ হাসিনার ভারত অবস্থান সম্পর্কে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভারতে অবস্থানের বিষয়ে আমি আগেও বলেছিলাম, তিনি স্বল্প নোটিশে এসেছিলেন এবং এখনো এখানেই আছেন।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ৭ মার্চসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় ছুটি বাতিল করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও উত্তর দেননি মুখপাত্র।
ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে সেদেশেই অবস্থান করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জয়সওয়াল।