দেশে ফেরত আসারা ব্যক্তিরা লালমনিরহাট, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, যশোর ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, দালালের খপ্পরে পড়ে কাজের সন্ধানে ও আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ছিল ওই ১৩ জন। সেখানে বাসাবাড়িতে কাজ করা ও অবৈধভাবে বসবাস করার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে আটক হয় তারা। আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ‘ধ্রুবাশ্রম’ ও ‘সুকন্যা’ নামের দুইটি বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন (এনজিও) তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে দুই দেশের মধ্যে চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে মঙ্গলবার তারা দেশে ফিরেছে।
ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের কার্যক্রম শেষে ফেরত আসা ১৩ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে বাংলাদেশের এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস যশোর ও মহিলা আইনজীবী সমিতি তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
যশোরের এনজিও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস যশোর ও মহিলা আইনজীবী সমিতির নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।