এবার ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে নিজেদের চাহিদা পূরণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ। এতেই ভারতে ইলিশের দাম এখন আকাশছোঁয়া। ফলে দিল্লিতে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার টাকারও বেশি দামে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাজধানী দিল্লিতে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার টাকার বেশি)।
দিল্লির সিআর পার্ক মার্কেট ১-এর একজন মাছ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তিনিসহ অন্য অনেকে অবৈধভাবে ইলিশ সংগ্রহ করছেন এবং এর কেজি বিক্রি করছেন ৩ হাজার রুপিতে।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা আসছে, আর বাঙালি ক্রেতারা ইলিশ চাইছেন। তাদের চাহিদা আমাদের পূরণ করতে হবে।
কলকাতার বিখ্যাত গড়িয়াহাট মার্কেটের পাইকারি এক মাছ ব্যবসায়ীও বলেছেন প্রায় একই কথা। তিনি জানালেন, ওই বাজারে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার রুপিতে; যেখানে এক একটি মাছ কমপক্ষে দেড় কেজি ওজনের।নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, গোপন পথে অবৈধভাবে ভারতে ইলিশ আসছে। ভারতই এই মাছের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক।
তবে বাংলাদেশ ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আগে, কলকাতা এবং দিল্লিতে এই মাছের কেজি ১২০০-১৫০০ রুপিতে বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে চেন্নাইয়ের আদিয়ারে বাংলাদেশি ইলিশের একমাত্র বিক্রেতা জেকে ফিশ স্টলের ‘করিম ভাই’। চাহিদা বিবেচনায় স্টকে থাকা সব মাছ বের করেছেন তিনি, প্রতি সপ্তাহে বিক্রি করছেন ১০০ কেজি ইলিশ।
ইলিশের দাম প্রতি কেজি ১৬০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ রুপি করার কথা উল্লেখ করে করিম বলেছেন, ‘উৎসব (দুর্গাপূজা) শেষ হলে, একমাস পর দাম কমে যাবে। ’
ব্যাঙ্গালুরুতে ভজহরি মান্নার করমঙ্গলা শাখার ম্যানেজার শান্তনু হালদার টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, আমরা তিনটি সাইজে প্রতি প্লেটে একপিস (ইলিশ) করে সার্ভ করি। এর মধ্যে রয়েছে জাম্বো, সুপার জাম্বো এবং মিনি সাইজ; যার দাম যথাক্রমে ৪৬০, ৫০৫ (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০০ টাকার বেশি) এবং ২৭৫ রুপি।