এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জে স্বামীকে হত্যার অপরাধে স্ত্রী লতা রানী দাস ও বড় শ্যালক মোহন চন্দ্র দাসকে পুলিশ গ্রেফতার করে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে।
বীরগঞ্জ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী অফিসার প্রভাত চন্দ্র সরকার জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের কলেজ পাড়া মহল্লার নিমাই চন্দ্র দাসের ছেলে রাজু চন্দ্র দাস (২৬) এক বছর পূর্বে বীরগঞ্জ পৌর শহরের কাচারী পাড়ার মজিয়া দাশের মেয়ে লতা রাণী দাসকে বিয়ে করে।
লতা রাণী দাসকে বিয়ের পর বেসরকারী সাহায্য সংস্থা আরডিআরএস কৃষি বিভাগের ফিল্ড অফিসার হিসেবে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নে কর্মরত থাকার সুবাদে বা চাকুরীর কারণে গোলাপগঞ্জ বাজারে বীরমুক্তিযোদ্ধা কুমদ রঞ্জন রায়ের ছেলে মিঠুর রায়ের বাড়ীতে ঘরভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। কৃষি অফিসার রাজু চন্দ্র দাস ভাড়া বাসায় অবস্থান কালে গত ১৭ এপ্রিল তাকে নিজ ঘর থেকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার ময়না তদন্তের রিপোর্টে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেক্ষ করে বীরগঞ্জ থানাকে অনুলিপি প্রদান করা হয়। রিপোর্টের বিষয়টি অবহিত হয়ে নিহতের বাবা নিমাই চন্দ্র দাস রাতেই রাজু দাসের স্ত্রী লতা রাণী দাস (২০), লতা রাণীর দাসের ভাই মোহন চন্দ্র দাস (২৬), মা অলকা রানী দাস (৫০), বোনের স্বামী খানসামা উপজেলার ঝাড়বাড়ী গ্রামের গণেশ রাম দাসের ছেলে সাধু রাম দাস (৩৮)-এর নাম উল্লেক্ষ সহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামী করে ১১/০৭/১৭ইং তারিখে বীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১১(০৭)২০১৭ইং।
তারই প্রেক্ষিতে বীরগঞ্জ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী অফিসার প্রভাত চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ রাতেই বীরগঞ্জ পৌর শহরের কাচারী পাড়া মহল্লায় মজিয়া চন্দ্র দাসের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে স্ত্রী লতা রাণী দাস (২০) ও স্ত্রীর বড় ভাই মোহন চন্দ্র দাস (২৬) কে গ্রেফতার করে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু আক্কাস আহম্মেদ মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।