নাজমুল ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের কলহ নিরসন নিয়ে শ্বশুর ও জামাইয়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জামাই সর্ধেন শীল (৪৫) নিহত হয়েছে। এঘটনায় বিজয় শীল নামে শ্বশুর (৭৫) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৬ নভেম্বর বুধবার ভোর রাত ৩টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের নাপিতপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জামাই সর্ধেন শীল ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দেউধা গ্রামের কর্ম শীলের ছেলে। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, পারিবারিক বিরোধের গত ২৫ দিন আগে সর্ধেন তার স্ত্রী বাসন্তি রানী শীলকে নির্যাতনে করলে বাবা বিজয় শীল এর বাড়ীতে চলে আসে। স্ত্রীকে নেওয়ার জন্য দেন দরবার করলে স্ত্রী স্বামীর বাড়িতে না যাওয়ায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সর্ধেন শীল তার শ্বশুর বাড়ীতে এসে দরজায় ডাক দেয়, শ্বশুর দরজা খুললে সর্ধেন শীল এর হাতে থাকা বটি ও হাসুয়া দিয়ে শ্বশুরকে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল পরে উন্নতর চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়।
জামাই সর্ধেন শীলকে এলাকার লোকজন আটক করে তার হাতে থাকা বটি ও হাসুয়া কেড়ে নিতে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে গুরুতর আহত হয় সর্ধেন শীল।
বীরগঞ্জ থানার এসআই নিহার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত জামাই সর্ধেন শীলকে তাৎক্ষনিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পরিবারের লোকজন মাইক্রোবাস যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত জামাই সর্ধেন শীলের ছেলে গুরুদেব শীল জানায়, বাবার সাথে মা এর বিরোধ থাকার কারণে মা ও আমি নানা বাড়ি চলে আসি। গতকালকে রাতে বাবা এসে প্রথমে নানুর উপর আঘাত করে। নানুকে মুমূর্ষ অবস্থায় রংপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ মহসিন আলী জানায়, হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই লোকটি মারা গেছে।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল গফুর বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।