বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

বিনা টেন্ডারে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের ৫১টি গাছ বিক্রি

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ চুরির মামলা হচ্ছে। প্রায় ৬ মাস আগে তিনি ৮ লাখ টাকা মূল্যের সরকারি গাছ বিনা টেন্ডারে গোপনে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বছরের মার্চ মাসের দিকে চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ গোপনে সদর উপজেলার কালা লক্ষ্মীপুর গ্রামে জেলা পরিষদের একটি পুকুর পাড়ের ৫১টি গাছ বিক্রি করেন তিনি। এদিকে ৬ মাস আগে এই গাছ বিক্রি করা হলেও কেন মামলা করা হয়নি এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের নামে কোনো মামলা না থাকলেও হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন। ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের গোপনীয় সহকারী সফি উদ্দীন গতকাল বুধবার বিকেলে জানান, এ বছরের মার্চ মাসে চুরি করে গাছগুলো কাটা হয়। সরেজমিন তদন্ত করে দেখা গেছে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের নির্দেশে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নাজমুল হোসেন গাছগুলো খুলুলবেড়বাড়ি গ্রামের আতিয়ার মোল্লার ছেলে রুবেল হোসেন মোল্লার কাছে বিক্রি করেন। স্থানীয় পদ্মাকর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার জাহিদুল ইসলাম আতিক সরকারি গাছ বিক্রিতে সহায়তা করেন।

তিনি আরও জানান, চেয়ারম্যান হিসেবে হারুন অর রশিদ দায়িত্ব গ্রহণের পর অনেককে বদলি করে দেন। ফলে তিনি এই সুযোগে সরকারি লাখ লাখ টাকার গাছ চুরি করে বিক্রি করেন। এ বিষয়ে সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমি কেন গাছ বিক্রি করতে যাব? তাছাড়া গাছ বিক্রির কথা তো আমি জানিও না। আমার বিরুদ্ধে পরিষদের কিছু কর্মচারী ষড়যন্ত্র করছে’ দাবি করেন তিনি।

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে মামলা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি এজাহার প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি বাইরে থেকে ফিরে থানায় এজাহার জমা দেব।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular