নিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগতভাবে নিধন করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সুচি। একই সঙ্গে দেশটির রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাদের কেউ ফিরে আসতে চাইলে তাদের সাদরে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাখাইন রাজ্যে চলমান সমস্যার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, রাখাইন প্রদেশে যথেষ্ট বৈরিতা রয়েছে। তবে একটি জাতিকে ‘নিধন’ করা হচ্ছে শব্দটি সেখানকার পরিস্থিতির জন্য বেশি কঠিন।
২০১৭ সালের প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী সুচি। তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে, মানবাধিকার রক্ষার দূত এবং শান্তিতে নোবেল জয়ী হয়েও সূচি ব্যর্থ হয়েছেন নিজের দেশে রোহিঙ্গাদের নির্মূলে বাধা দিতে? তখন তিনি এই অভিযোগ এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, রাখাইন প্রদেশে যথেষ্ট বৈরিতা রয়েছে, মুসলমানরাই মুসলমানদের হত্যা করেছে। সেখানে নানা বিভক্তি রয়েছে মানুষের মাঝে এবং আমরা সেটাই কমানোর চেষ্টা করছি।
দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে সুচি এই বিষয় নিয়ে তার মতামত তুলে ধরে বলেন, সেখানে অক্টোবরে পুলিশের ওপর হামলা থেকেই সবকিছুর সূত্রপাত। এরপর সামরিক বাহিনী বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করে।
এক প্রশ্নের জবাবে সুচি বলেন, পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাদের কেউ ফিরে আসতে চাইলে তাদের সাদরে গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা নিরাপদ থাকবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
এর আগে, রাখাইন রাজ্যে মুসলমানদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ না খোলায় বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়েছেন সুচি। সে প্রসঙ্গে তার জবাব, তিনি মার্গারেট থ্যাচার কিংবা মাদার তেরেসা নন। তিনি শুধুই একজন রাজনীতিবিদ। তবে, সবকিছু পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘের সাবেক প্রধান কফি আনানকে আবারো রাখাইন রাজ্যে আমন্ত্রণ জানান।
বিবিস জানায়, রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযানের ভয়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।