নিউজ ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশির তীব্র নিন্দা জানিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশি করে সরকার এটাই বুঝিয়েছে যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের লেশ মাত্র নেই। বাংলাদেশ সম্পূর্ণ গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর সাহায্যে এই সরকার দেশ চালাচ্ছে।
গতকাল শনিবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে দেশের গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যাহত করতে চাচ্ছে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর রহমান, পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২৪ মে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে এক বর্ধিত সভায় যোগদান করার জন্য তিনি শুক্রবার ঠাকুরগাঁওয়ে আসেন।
এর আগে সকাল পৌনে ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত গুলশান কার্যালয়ে তল্লাশি করে পুলিশ। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে ৩ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে কোনো কিছুই পায়নি পুলিশ। এসময় তিন তলায় চারটি তালা ভাঙে পুলিশ। এছাড়া শুরুতেই কার্যালয়ের ভেতরে বাইরে বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা ঘুরিয়ে রেখে তারা এই তল্লাশি চালায়। আদালতের একটি সার্চ ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কোনোও কর্মকাণ্ড চলছে কি না, কিংবা কোনো ডকুমেন্ট রয়েছে কি না তা দেখতে এই তল্লাশি চালানো হয় বলে জানান গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক। তল্লাশি শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি।
এদিকে, তল্লাশির এই ঘটনা দলের চেয়ারপার্সনকে হয়রানি ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করার লক্ষেই করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজভী আহমেদ। তল্লাশি শেষে গুলশান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, চেয়ারপার্স খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে চায় সরকার। আর সে কারণে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।