1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
বন্দী অবস্থায় নামাজের রীতি যেভাবে এলো | Nilkontho
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | শুক্রবার | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক মেয়র আতিক কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই: জামায়াত আমির ‘ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার’ ৮ ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি রোববার শপথ নিচ্ছেন সিইসি ও ইসিরা থাইল্যান্ডসহ ৫ দেশে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কবার্তা সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার ধাক্কা, দুই জেলে নিখোঁজ সবজির বাজারে শীতের আমেজ, আলুর দামে অস্বস্তি চার দিনের সফরে ঢাকায় বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি সড়ক থেকে সরলেন আন্দোলনকারীরা, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক জীবননগর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম গ্রেফতার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি পলাশবাড়ীতে জামায়াত বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ১২ নেতানিয়াহু ও হামাস প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তার তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি মার্কিন আদালতে ভারতীয় ধনকুবের আদানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বন্দী অবস্থায় নামাজের রীতি যেভাবে এলো

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪

হজরত আমর ইবনে আবু সুফিয়ান (রা. )–এর বরাতে একটি হাদিসের বর্ণনা আছে।

একবার আল্লাহর রাসুল (সা.) দশজন লোককে গোয়েন্দা হিসেবে সংবাদ সংগ্রহের জন্য পাঠালেন। আসিম ইবনে সাবিত আনসারি (রা.)–কে তিনি সেই গোয়েন্দা দলের প্রধান নিয়োগ করলেন। আসিম (রা.) ছিলেন উমর ইবনে খাত্তাবের নানা।

তাঁরা মদিনা ও মক্কার মাঝামাঝি হাদাত নামে একটি জায়গায় পৌঁছালেন। লেহইয়ান নামে হুযায়েল গোত্রের একটি শাখার লোকেরা দুই শ তিরন্দাজ নিয়ে তাঁদের সন্ধানে বের হয়। রাসুল (সা.)–এর গোয়েন্দারা একটা জায়গায় মদিনা থেকে সঙ্গে করে নিয়ে আসা খেজুর খেয়েছিলেন। শত্রুরা সেই জায়গায় লল, এটা তো ইয়াস্রিবের (মদিনার) খেজুর। নানা চিহ্ন দেখে দেখে ওরা তাঁদের পিছু নিল।

আসিম আর তাঁর সঙ্গীরা উঁচু একটি স্থানে আশ্রয় নিয়েছিল। তাঁদের ওরা দেখতে পেয়ে বলল, তোমরা নেমে এসে স্বেচ্ছায় বন্দী হও। তোমাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা কাউকে হত্যা করব না।

আসিম ইবনে সাবিত (রা.) বললেন, ‘কাফিরদের কথায় তো আমি নিচে নামব না। হে আল্লাহ, আমাদের পক্ষ থেকে আপনার নবীকে সংবাদ পৌঁছে দিন। ’
কাফিররা ততক্ষণে তাঁদের দিকে তির ছুড়তে শুরু করেছে। তিরবিদ্ধ হয়ে আসিম (রা.)–সহ সাতজন মারাও গেলেন। বাকি রইলেন কেবল তিনজন—খুবাইব আনসারি (রা.), যায়েদ ইবনে দাসিনা (রা.) এবং আরও একজন।

কাফিরদের অঙ্গীকারের আস্থা রেখে তাঁরা নেমে এলেন। কাফিররা ধনুকের ছিলা খুলে তিনজনকে বেঁধে ফেলল। তৃতীয়জন তখন বলে উঠলেন, ‘শুরুতেই বিশ্বাসঘাতকতা! আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের সঙ্গে যাব না। আমি শহীদদের পদাঙ্ক অনুসরণ করব। ’

কাফিররা তাঁকেও মেরে ফেলল। এর পর খুবাইব আনসারি (রা.) আর যায়দ ইবনে দাসিনা (রা.)–কে মক্কায় নিয়ে এসে দুজনকেই ওরা বিক্রি করে দিল। খুবাইব আনসারি (রা.)–কে তখন হারিস ইবনু আমিরের ছেলেরা কিনে নেয়।

এটা বদরের যুদ্ধের পরের ঘটনা। বদরের যুদ্ধে খুবাইব (রা.) হারিস ইবনু আমিরকে হত্যা করেছিলেন। খুবাইব (রা.)–কে তারা কিছুদিন বন্দী করে রাখে। হারিসের ছেলেমেয়েরা খুবাইব (রা.)-কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিল।

খুবাইব (রা.) তাদের কাছ থেকে ক্ষৌরকর্মের জন্য ওদের কাছে একটা ক্ষুর চাইলে হারিসের মেয়ে তাঁকে একটা ক্ষুর দিল। হারিসের নাতি সে সময় খুবাইব (রা.)–র কোলে বসেছিল। খুবাইবের হাতে ক্ষুর দেখে হারিসের মেয়ে আঁতকে উঠল।

খুবাইব (রা.) বললেন, তুমি কি একথা ভাবছ যে শিশুটিকে আমি খুন করব? কখনোই আমি সেটা করব না।

হারিসের মেয়ে তখন বলেন, খুবাইবের মতো উত্তম বন্দী আমি কখনো দেখিনি। একদিন দেখি, খুবাইব বন্দী অবস্থায় আঙুর খাচ্ছেন। অথচ সে সময় মক্কায় কোনো ফলই পাওয়া যাচ্ছিল না। সেটা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে জীবিকা, খুবাইবকে তিনি দান করেছেন।

এরপর ওরা খুবাইবকে মারার জন্য তাঁকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। খুবাইব (রা.) বললেন, আমাকে দুই রাকাত নামাজ পড়তে দাও। ওরা তাঁকে নামাজ পড়ার অনুমতি দিল। তিনি নামাজ আদায় করে বললেন, আমি কিন্তু মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে আমি নামাজকে দীর্ঘ করিনি।

এই বলে তিনি একটি কবিতা আবৃত্তি করলেন:
‘যখন আমি মুসলিম হিসেবে শহীদ হচ্ছি, তখন কোনো ভয় করি না,
আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে আমাকে যেখানেই মাটিতে লুটিয়ে ফেলা হোক না কেন।
আমার এ মৃত্যু আল্লাহ–তাআলারই জন্য।
তাঁর ইচ্ছা হলে আমার শরীরের প্রতিটি খণ্ডে বরকত দিয়ে দেবেন। ’

এর পর হারিসের ছেলে তাঁকে হত্যা করে। বন্দী অবস্থায় কোনো মুসলমানকে শহীদ করা হলে তাঁর জন্য দুই রাকাত নামাজ আদায় করার রীতি খুবাইব (রা.) এই ঘটনা থেকে প্রবর্তিত হয়।

আসিম (রা.)–এর শাহাদত বরণের দিনই আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেছিলেন। তাঁদের সবার ওপর যা ঘটেছিল, আল্লাহর রাসুল (সা.) সে দিন তাঁর সাহাবিদের সবই জানিয়েছিলেন।

কুরাইশ কাফিরদের জানানো হলো যে আসিম (রা.)-কে শহীদ করা হয়েছে। সে খবর পেয়ে ওরা একটি লোক পাঠাল আসিম (রা.)–এর লাশ কেটে একটি অংশ নিয়ে আসতে, যাতে ওরা সেটা দেখে তাঁর মৃত্যুর ব্যাপারে সুনিশ্চিত হতে পারে। আসিমের লাশ রক্ষার জন্য তখন এক ঝাঁক মৌমাছি পাঠানো হলো, যাতে তারা তাঁর দেহ আবৃত করে রাখে। কুরাইশদের সেই লোক তাঁর শরীরে ছুরি চালাতে পারেনি। (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ৩,০৪৫)

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০৩
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:২১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৮
  • ১১:৫৩
  • ৩:৪২
  • ৫:২১
  • ৬:৩৭
  • ৬:২২

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০