নিউজ ডেস্ক:
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে আমরা অনেক আগেই সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে পারতাম।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। তাঁর জীবনাদর্শ ছিল বিশাল।
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক দেয়াল চিত্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আজ বেলা ১১ টায় খাদ্য ভবনের নিচতলায় স্থাপিত এ দেয়াল চিত্রের শুভ উদ্বোধন করেন।
এসময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্র অবস্থা থেকেই মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। তাঁর জীবনাদর্শ বিশাল। এ দেয়াল চিত্রের মাধ্যমে সেই বিশালতার মধ্য থেকে কিঞ্চিৎ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের সময় রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু জেলে যান। তারপর আসে ৬৬’র ৬দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন এবং সর্বশেষ ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ। ৭ই মার্চের তাঁর সেই অমোঘ বাণী ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’। আর তাঁর সেই সংগ্রামের সুফল আজ আমরা পাচ্ছি। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা অনেক আগেই সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে পারতাম।
তিনি বলেন, বর্তমানে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বৈশ্বিক মহামারী করোনার মধ্যেও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সবাইকে সকল ভেদাভেদ ভুলে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
দেয়ালচিত্রটি অত্যন্ত প্রাণবন্ত, যেন বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের ইতিহাস জ্বলজ্বল করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনের বীরত্বগাথা, দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এক নজরে দেখলেই ধারণা লাভ করা যায়। পাশাপাশি তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কর্মকা-ও এখানে ফুটে উঠেছে। দেয়ালচিত্রটিতে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার লড়াই করতে নেমে বাঙালি একটি নতুন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তা ফুটিয়ে তুলেছে।
দেয়ালচিত্রটিতে বস্তুত রক্তমাখা একুশের পর ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন এবং একই ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন ধীরে-ধীরে সে স্বপ্নটাকে স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলেছে। পরবর্তীতে একাত্তর সালের ২৫শে মার্চে পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমণ এবং তার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা পাগল বিক্ষুব্ধ বাঙালি জাতির গণজাগরণ যে সশস্ত্র লড়াইয়ে রূপ ধারণ করেছিল, তাই ছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ।