নিউজ ডেস্ক:
সরকারি হাসপাতালে বেতনভুক কর্মচারী তাঁরা। তবুও সন্তান হওয়ার পর, অনেক সময়ই প্রসূতির পরিবারের কাছ থেকে বখশিশ চান নার্সরা।
সন্তান লাভের খুশিতে দিয়েও দেন অনেকে। কিন্তু, নার্সকে যদি তাঁর দাবি অনুযায়ী বাড়তি অর্থ না দেওয়া হয় তাহলে পরিণতি যে কী মারাত্বক হতে পারে, তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ভারতের হরিয়ানার সোনপতের বাসিন্দা সঙ্গীতা সিং।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, বাচ্চা হওয়ার পর প্রসূতির পরিবারে কাছে বখশিশ চাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে টাকা দিতে রাজি হননি তাঁর পরিবার। এই রাগে সোনপত সিভিল হাসপাতালের এক নার্স প্রসূতির শরীরে সেলাই করতে দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত নার্সকে ইতিমধ্যে প্রত্যন্ত এলাকার একটি হাসপাতালে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।
খবরে আরও বলা হয়, স্বাভাবিক প্রসব হওয়ায় পরদিন সঙ্গীতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২ দিন পর ফের শুরু হয় যন্ত্রণা। চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাঁর বাড়ির লোককে জানান, প্রসবের পর সেলাই না করেই সঙ্গীতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সে কারণে এই যন্ত্রণা। নার্সের বখশিশ চাওয়ার কথা জানালে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সে ব্যাপারে জানাতে বলেন।
হাসপাতালের প্রিন্সিপাল মেডিক্যাল অফিসার সি পি আরোরা জানিয়েছেন, রোগীর পরিবার দু’টি অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত হবে। হাসপাতালের প্রত্যেক কর্মীকে সাবধান করা হয়েছে। বখশিশ চাওয়া নার্সকে প্রত্যন্ত এলাকার একটি হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।