বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে শুরু হতে যাওয়া মেলা ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের পদচারণায় সাহিত্যাঙ্গন, মুক্তচিন্তা ও সৃজনশীলতার নতুন দ্বার খুলবে।
লেখক ও প্রকাশকরা মনে করছেন, ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের অবসানের পর নতুন বাংলাদেশে বইমেলার আয়োজন ফিরে পাবে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য। এবারের প্রতিবাদ্য ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মেলার সার্বিক আয়োজন ও প্রস্তুতি তুলে ধরেছে বাংলা একাডেমি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ হলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। তিনি জানান, শনিবার বিকেল ৩টায় বইমেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বইমেলা। তবে, রাত সাড়ে ৮টার পর কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া)। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো রাখা হলেও কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে মেলার বাহিরপথ মন্দির-গেটের কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট চারটি প্রবেশ ও বাহিরপথ থাকবে। খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা-ঘেঁষে বিশেষভাবে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান, শৌচাগারসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।