নিউজ ডেস্ক:
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আলোচনার পর শিক্ষকরা আন্দোলন স্থগিত করেছেন।
সোমবার বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের বাসভবনে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের ৩ দিন ধরে চলা অনশনের সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সোমবার বিকেলে টেলিফোনে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান বাসসকে এ কথা জানান।
তিনি জানান, বৈঠকে মন্ত্রীর পক্ষ থেকে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে তাদের অনশন কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে বৈঠক শেষে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা তার ওপর আস্থা রেখেছেন।
মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের মেয়াদকালীন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেডের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
পরে সন্ধ্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের শরবত খাইয়ে অনশন ভাঙ্গান।
প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবী আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে মূল বেতন ১০ হাজার ২০০ টাকা বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা। সহকারী শিক্ষকরা এ বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতনের দাবি করছেন।