নিউজ ডেস্ক:
দুই বাংলার নেট জগতকে কাঁপিয়ে চলেছে জয়া আহসান অভিনীত স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘ভালোবাসার শহর। ‘ অসাধারণ পটভূমির এই শর্ট ফিল্মে তুলে ধরা হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত এক শহরে ভালোবাসার গল্প। এক নারীর লড়াই। তীব্র এই লড়াই অব্যক্ত থাকে নারীর অন্দরে, যুগের পর যুগ। ‘ভালবাসার শহর’ দেখার পর এমনই উপলব্ধি হয়েছে বাংলা সিনেমার প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের।
ছবিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক কলকাতার দৈনিক এবেলা কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন তিনি। তুমুল জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেছেন, ‘কবির কাজ আমি দেখেছি, সিনেমা ও টিভিতে। ছোট্ট ঘটনার এমন ট্রিটমেন্ট দিতে পারে কবি, যে দেশের বাউন্ডারি লাইন পেরিয়ে আন্তর্জাতিকতায় পৌঁছে যেতে পারে। অত্যন্ত তীক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন আবেগপ্রবণ এক পরিচালক।
ভালোবাসার শহর ছবিতে জয়া আহসান স্বাভাবিকভাবেই দারুণ অভিনয় করেছেন। জয়ার বহু কাজ আমি দেখেছি। ওর স্বভাবই দারুণ অভিনয় করা! এই ছবি শুধু নারীকেন্দ্রিকই নয়, নারীর মাধ্যমে এক গভীর ইতিহাসের পাতা মেলে ধরা হয়েছে। বেঁচে থাকার লড়াইটা পরতে পরতে তুলে ধরেছেন জয়া। প্রতি মুহূর্ত ধরা পড়ে তার অভিব্যক্তিতে। ‘
এ লড়াই যতটা নিজের, তার চেয়েও বেশি অন্যের জন্য। প্রিয়জনের জন্য। নারীদের অনেক লড়াই-ই অব্যক্ত থেকে যায়। বাস্তবে বহু নারী জীবনের সঙ্গে অনেক ধাপে কম্প্রোমাইজ করে চলে, যা কখনও প্রকাশ্যে আসে না। পার্লারে সেই ছোট্ট সিনটার কথাই বলছি। সোহিনীর ওই একটা সিনের সংলাপেই আছে এমন কথা, যা যুগের পর যুগ নারীদের আপসের সিন্দুকটা খুলে দেয়। খুব নাড়া দিয়েছে আমায়।
‘গায়ে কাঁটা দিয়েছে ছোট্ট শিশুটির অভিনয়, কোমাচ্ছন্ন অবস্থায় সে শুয়ে আছে বিছানায়। নাকে নল। দিনের পর দিন। এমন অভিনয়! এতো ছোট্ট শিশু পারল কীভাবে! অনেকদিন পর অরুণদা (মুখোপাধ্যায়) কে পেলাম ছবিতে। কী ভালো লাগল মানুষটার অভিনয়।
‘ভালবাসার শহর’ থেকে দর্শকও অনেক কিছু নিয়ে যাবেন। যে-শহরেই আপনি থাকুন না কেন, সেটার জন্য আপনাদের মনে ভালোবাসা তৈরি হয়। সেটা আপনার জন্মস্থান নাও হতে পারে। এই শহরই হয়ত আপনার জীবনের গতি পথটা এঁকে দিতে পারে। যেমন হয়েছিল ‘ভালবাসার শহর’ ছবিতে জয়ার।