নিজিস্ব প্রতিবেদকঃ
চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এরপর জেলা নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এসময় খাদ্য তৈরির উপকরণের নমুনা সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করে ফলাফল জানানো হয়। জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজিব পালের নেতৃত্বে অভিযানে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নার্গিস জাহান, নমুনা সংগ্রহকারী নাসের উদ্দিন, ল্যাব টেকনিশিয়ান জুনায়েদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন বিভাগে একটি করে ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার রয়েছে। খুলনা বিভাগের ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারের গাড়ি নিয়ে খাদ্যপণ্যের মান পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গতকাল চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, মধু, ঘি এর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দুধে ডিটারজেন্ট, স্টার্চ, ইউরিয়ার উপস্থিতি, ঘি-তে বনস্পতি/হাইড্রোজেনেটেড এডিবল ফ্যাটের উপস্থিতি, হলুদের গুঁড়ায় লেড ক্রোমেটের উপস্থিতি, মরিচের গুঁড়ায় ইটের গুঁড়ার উপস্থিতি, গোল মরিচে পেঁপে বীজ মেশানো, নারিকেল তেলে ভেজাল, শাক-সবজি ফলমূলে রং দেওয়া ও বালাইনাশকের মাত্রা নির্ণয়, মধুতে চিনির মিশ্রণ, পাউরুটিতে ক্ষতিকর পটাশিয়াম ব্রোমেটের উপস্থিতি, খাদ্যে অননুমোদিত কৃত্রিম রঙের উপস্থিতি, খাদ্যে ক্ষতিকর ভারী ধাতুর উপস্থিতিসহ আরও অনেক পরীক্ষা করা যাবে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরিতে।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজিব পাল বলেন, ‘আমরা নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, মধু, ঘি এর ৯ টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করি। এর মধ্যে হলুদ ও মরিচের গুঁড়াতে কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক পেয়েছি, মধুতে অতিরিক্ত চিনির ব্যবহারের প্রমাণও পাওয়া গেছে। এগুলো আমরা জব্দ করে ধ্বংস করবো এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’ ।