কক্সবাজারের পেকুয়ায় নবনির্মিত ব্রীজের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে অন্তত ৪ টি গ্রামের ৪ হাজার মানুষের জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত মাস খানেক আগে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে পেকুয়ার টইটংয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানির ধাক্কায় মধুখালী-ঢালারমুখ ব্রীজটির উভয় পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়।
চৌকিদারপাড়ার আমির হোসেন জানান, টইটংয়ের ঢালারমুখ ছড়ার উপর ব্রীজটি নির্মিত হয়েছিল পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের কার্যালয় (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের) অধীনে।
গত ৭ মাস আগে তৎকালীন এমপি মেজর জেনারেল ছৈয়দ ইব্রাহীম উক্ত নবনির্মিত ব্রীজের শুভ উদ্বোধন করেন। প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজের ৬ মাসের মাথায় সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার স্থানীয় হাজার হাজার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগের সীমা নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিউল আলম জানান, উক্ত ব্রীজের উপর দিয়ে টইটং ইউনিয়নের মধুখালী, বনকানন, ঢালারমুখ, রমিজপাড়া, কেরণছড়ি, লেইনের শিরা, হাজী বাজার, মাঝেরপাড়া গ্রামের অন্তত ৪ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ওই ব্রীজ নির্মাণের পর থেকে দু’কুলের মধ্যে ছোট বড় সব ধরনের গাড়ী চলাচল করতো। বর্তমানে হেঁটে যাওয়াও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তারা ব্রীজের সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য সরকারের নিকট দাবী জানান। স্থানীয় আবদুল হক এমইউপি জানান, জনগনের চলাচলের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ওই ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। উক্ত ব্রীজ দিয়ে রমিজপাড়া, ঢালারমুখসহ কয়েকটি গ্রামের স্কুল-মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করতো। এক সময় উক্ত ব্রীজের উপর বিভিন্ন ধরনের মালামালের গাড়ী চলাচল করতো। বর্তমানে সংযোগ সড়কের অবস্থা বেহাল। তিনি দ্রুত সংযোগ সড়কের সংস্কার করার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানান।
পেকুয়া উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, ব্রীজের কালভার্ট ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে আমরা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ আসলে মাটির কাজ পুনরায় করা হবে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈনুল হোসেন চৌধুরী জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। বরাদ্ধ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ব্রীজের সংযোগ সড়কের কাজ সংষ্কার করা হবে।