নিউজ ডেস্ক:
রাঙামাটির পাহাড়ে তরমুজ চাষ করে চমক লাগিয়ে দিয়েছে এক কৃষাণী। আকারে বেশ বড় এসব তরমুজ দেখতে টসটসে, স্বাদেও মিষ্টি। উপযুক্ত আবহাওয়া এবং সঠিক পদ্ধতির চাষাবাদের কারণে এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব তরমুজ উৎপাদন হয়েছে রাঙামাটির জেলার সুভলং ইউনিয়নের দক্ষিণ বরুনাছড়ি পাহাড়ে।
রাঙামাটির সুবলং ইউনিয়নের বরুনাছড়ি এলাকার তরমুজ চাষী মনোয়ারা বেগম জানান, স্বামী সলিমুল্লাকে সাথে নিয়ে চলতি মৌসুমে দক্ষিণ বরুনাছড়ি পাহাড়ে ২ একর জমি বর্গা নিয়ে তরমুজের চাষ শুরু করেন তিনি। পাহাড়ের পাদদেশে মাত্র ৩০০ মাদার (গর্ত) মধ্যে তরমুজ চাষ করা হয়। প্রতিটি মাদায় ৩ থেকে ৪টি করে তরমুজ স্থান পায়। সময়মত পানি সারসহ ও সঠিক পরিচর্যার কারণে ফলনও হয়েছে বাম্পার। শুধু এ মৌসুমে লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি।
রাঙামাটি কৃষি বিভাগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রাঙামাটি জেলায় প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি তরমুজের আবাদ হয়েছে লংগদু উপজেলায়। এছাড়া রাঙামাটি সদর, বরকল, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, নানিয়ারচর ও বিলাইছড়ি উপজেলাগুলোতে ব্যাপকহারে তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে। এসব উপজেলার উৎপাদিত তরমুজ এখন রাঙামাটির বিভিন্ন বাজারে সয়লাব।
রাঙামাটির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বড় ও মাঝারি আকারের প্রতি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা এবং ছোট আকারের তরমুজ ৮০-১০০ টাকায়। চাহিদাও অনেক। তাই দাম যাই হোক লুভে নিচ্ছে ক্রেতারা। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রমণী কান্তি চাকমা জানান, উপযুক্ত আবহাওয়া, জমির ঊবরতা এবং উন্নত চাষাবাদের কারণে রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপকহারে তরমুজের চাষ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো। এতে চাষিদের বিপুল অর্থনৈতিক আয়ের পাশাপাশি বিশেষ মুনাফা লাভের সম্ভবনা রয়েছে। এবার মৌসুমেও সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে টোফেল, গ্লোরি ও চ্যাম্পিয়ন জাতের তরমুজ।
এদিকে পাহাড়ের এসব উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে বাজারজাত হচ্ছে জেলার বাইরে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে। তরমুজ চাষে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বহু কৃষি পরিবার।