নিউজ ডেস্ক:
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোকে (ইপিবি) উদ্ধৃত করে বলেছেন, চলতি অর্থ বছরের গত মে পর্যন্ত বস্ত্র খাত থেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ প্রায় ২৬ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকাল বুধবার বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর (সিলেট-৩) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এন্টিডাম্পিং ডিউটি আরোপে ভারতে পাটপণ্যে রফতানিতে ধস নেমেছে।
মহিলা এমপি বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দীন প্রামাণিক বলেন, ভারত সরকারের এন্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপের ফলে দেশটিতে পাটপণ্যের রফতানিতে ধস নেমেছে। তিনি জানান, ভারত সরকার কর্তৃক এন্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপের ফলে সেদেশে পাট পণ্য রফতানিতে আগের ২৭৫ থেকে ৩০০ কোটি টাকার স্থলে এখন মাত্র ৫০ কোটি টাকাতে নেমেছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজেএমসির নানামুখী কার্যক্রমে মোট রফতানি কমে নাই। ফলে ২০১৬ সালে দেশের পাট পণ্য রফতানির পরিমাণ ছিল ৬৭৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৯১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
মন্ত্রী জানান, পাটকে কৃষি পণ্য হিসেবে ঘোষণা করে নগদ সহায়তায় বর্তমানে সাড়ে ৭ ভাগ থেকে বাড়ানোর প্রক্রিয়া রয়েছে। পাট শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে রফতানি উন্নয়ন তহবিলের আদলে ২ ভাগ সুদ হারে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
দেশে কাপড়ের চাহিদার প্রায় ২৪শ’ মিলিয়ন মিটার উৎপাদিত হয় ২ হাজার মিলিয়ন মিটার :
বেগম সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী জানান, বিটিএমএ হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, দেশে কাপড়ের চাহিদার পরিমাণ প্রায় ২৪শ’ মিলিয়ন মিটার। চাহিদা অনুযায়ী দেশে উৎপাদিত কাপড়ের পরিমাণ প্রায় ১৭শ’ থেকে ২ হাজার মিলিয়ন মিটার। যা দিয়ে চাহিদার ৭০ থেকে ৮৩ ভাগ পূরণ হয়। বাকি ৪শ’ থেকে ৭শ’ মিলিয়ন মিটার কাপড় চীন, জাপান, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ইত্যাদি বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
২৩টি পাটকলের সবগুলোই অলাভজনক :
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ইস্রাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ইমাজ উদ্দীন প্রামাণিক জানান, বিজেএমসির নিয়ন্ত্রিত চালু মিলের সংখ্যা ২৬টি। যার মধ্যে ২৩টি পাটকল, বাকি তিনটি জুট মিল। বর্তমানে ২৩টি পাটকলের সবগুলোই অলাভজনক। তবে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে বিজেএমসি গত বছরের চেয়ে প্রায় ২শ’ কোটি টাকা লোকসান কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য যে, সকর সরকারি অর্থায়ন হতে প্রায় অর্থ বিজেএমসিকে ভর্তুকির পরিবর্তে ঋণ হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিগত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে কাঁচা পাট রফতানির পরিমাণ ১১ লাখ ৩৭ হাজার এবং রফতানি আয় ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর একই সময়ে পাটজাত পণ্য রফতানির পরিমাণ ৮ লাখ ২৫ হাজার টন এবং রফতানি আয় ৮শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।