নিউজ ডেস্ক:
পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আর কোনও অনুদান নয়, এবার থেকে টাকা দেওয়া হবে ঋণ হিসেবে। মার্কিন কংগ্রেসে এমনই প্রস্তাব দিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার।
মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্প জমানার প্রথম বাজেট পেশ হয়েছে। হোয়াইট হাউস থেকে যে বাজেট প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে পাঠানো হয়েছে, তাতেই পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর উন্নতির জন্য আর কোনও অনুদান না দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে প্রতিরক্ষা বিভাগই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলেও বাজেট প্রস্তাবে জানানো হয়েছে।
মার্কিন ফরেন মিলিটারি ফান্ডিং (এফএমএফ) প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছু দেশের সশস্ত্র বাহিনীই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের আর্থিক অনুদান পায়। পাকিস্তানের নাম সেই তালিকায় দীর্ঘ দিন ধরেই ওপরের দিকে ছিল। যুক্তরাষ্ট্র বার বারই জানিয়েছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই তীব্র করার জন্যই পাক সেনাবাহিনীর শক্তিশালী হওয়া দরকার। কিন্তু বলাই বাহুল্য, আমেরিকার কাছ থেকে প্রতি বছর মোটা টাকা নিলেও, আমেরিকার দেওয়া শর্ত পাকিস্তান পূরণ করেনি তারা।
এফএমএফ প্রকল্পের টাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের শক্তি বাড়িয়েছে ঠিকই, কিন্তু জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সে ভাবে কোনও পদক্ষেপ করেনি। বরং ভারত-বিরোধী, আফগান-বিরোধী এবং ইরান-বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে পাকিস্তান নিরাপদে নিজেদের ভূখণ্ডে বাড়তে দিয়েছে। তাই ফরেন মিলিটারি ফান্ডিং-এর আওতায় পাকিস্তানকে আর কোনও অনুদান দিতে চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন বাজেট বিভাগের শীর্ষকর্তা মিক মুলভ্যানে জানিয়েছেন, শুধু পাকিস্তান নয়, আরও বেশ কয়েকটি দেশকে ফরেন মিলিটারি ফান্ডিং-এর আওতায় অনুদান দেওয়া বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে হোয়াইট হাউস। ঋণ হিসেবে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে এটি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয় বলে তিনি জানান। এই প্রস্তাবের উপর মার্কিন কংগ্রেসে আলোচনা হবে এবং প্রতিরক্ষা বিভাগই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।