নিউজ ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে যেন বিশ্ববাসীকে ভয় দেখাল। চাপ দিতে চুপ ছিল না আমেরিকাও। ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথ সামরিক মহড়ায় নামে। রবিবার সেই যৌথ মহড়ার সমালোচনায় মুখর কিম জং উনের দেশ। ওয়াশিংটনকে দুষে পিয়ংইয়ঙের তোপ, ট্রাম্প প্রশাসন পরমাণু যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কোরীয় দ্বীপপুঞ্জকে।
আমেরিকা-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয় শনিবার। উত্তর কোরিয়ার দাবি, দু’টি মার্কিন যুদ্ধবিমান উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাটারি ধ্বংস করে। দক্ষিণ কোরিয়ার দু’টি বিমান কিমের এলাকার সুড়ঙ্গে থাকা দু’টি সেনা ঘাঁটির উপরে হামলা চালায়। যার জেরে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্র ‘রোডং’-এ লেখা হয়, ‘বারুদের স্তূপে বসে আগুন নিয়ে খেলবেন না। ’ ওই দৈনিকের দাবি, ‘‘আমেরিকা বিপজ্জনক মহড়া চালিয়ে এই দ্বীপে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা চরম মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। ’’ আইসিবিএমে-র প্রভাব পড়ে হামবুর্গে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনেও। চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিংফিংকে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কিছু একটা করতেই হবে। ’’ চিনফিংকে উদ্ধৃত করে সে দেশের সংবাদসংস্থা জিনহুয়ার দাবি, উনি ট্রাম্পকে বলেছেন, কোরীয় দ্বীপপুঞ্জে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমরা। সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক শক্তি একজোট হয়ে আলোচনার পথে আসুক, চান তিনি।
সূত্র: আনন্দবাজার।